লখনউ: ২১ দিনের লকডাউন ঘোষণা হওয়ার পরও কমেনি করোনা প্রভাব৷ম লকডাউনের ১৩ দিনেও দেশে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে করোনা আক্রান্ত এবং মৃতের সংখ্যা। কিন্তু এই লকডাউনের উল্লেখযোগ্য প্রভাব পড়েছে পরিবেশের ওপর। আবহাওয়াবিদদের দাবি, লকডাউনের কারণে সারা দেশ স্তব্ধ হওয়ায় দূষণের মাত্রা উল্লেখযোগ্যভাবে কমেছে। ক্রমশ দূষণমুক্ত হচ্ছে বায়ুস্তর।
শব্দদূষণও প্রায় নেই বললেই চলে। এবার এই লকডাউনের জেরে গঙ্গার জলেরও দূষণ মাত্রা কমল। আইআইটি বিএইচইউ-এর কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজি-র অধ্যাপক ড. পিকে মিশ্রের দাবি, ‘গঙ্গার দূষণের এক দশমাংশ আসে শিল্প থেকে। যেহেতু শিল্পোৎপাদন এখন বন্ধ লকডাউনে, তাই পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে। আমরা গঙ্গায় ৪০-৫০ শতাংশ উন্নতি লক্ষ করেছি। এটা তাৎপর্যপূর্ণ উন্নতি।’
বিশেষজ্ঞদের পাশাপাশি স্থানীয় লোকজনেরও একই দাবি। তাঁরাও গঙ্গাজলে এমন উন্নতি লক্ষ্য করেছেন। জানিয়েছেন, দীর্ঘদিন ধরে গঙ্গার জল ব্যবহার করছেন। কিন্তু এত পরিষ্কার গঙ্গা জল কখনও তারা দেখেননি। সাধারণত কলকারখানা এবং শিল্পাঞ্চলগুলি বন্ধ থাকার কারণেই জলের সঙ্গে কলকারখানার বর্জ্য পদার্থ মিশছে না। আর মূলত সেই কারণেই জল এত পরিশুদ্ধ, তাঁদেরও এই একই দাবি।
বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন এই মুহূর্তে গঙ্গার জলস্তর অনেকটাই কম। সাধারণত গরম পড়ে যাওয়ার কারণেই জলস্তর কমতে শুরু করেছে। কিন্তু বৃষ্টি শুরু হলে যখন আবার গঙ্গার জলস্তর বাড়বে তখন জল পরিশোধনের মাত্রা আরো কয়েকগুণ বৃদ্ধি পাবে। এতে গঙ্গার জল আরো পরিষ্কার হবে।