নয়াদিল্লি: শনিবার থেকেই শুরু হচ্ছে অযোধ্যা মামলার রায়দান পর্ব গোটা যখন দেশে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে, ঠিক তার একদিন আগেই অর্থাৎ শুক্রবার থেকেই গান্ধী পরিবারের এসপিজি নিরাপত্তা তুলে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিল কেন্দ্রীয় সরকার৷ সরকারি সূত্রে জানানো হয়েছে, এখন থেকে গান্ধি পরিবারকে জেড প্লাস ক্যাটাগরির নিরাপত্তা দেওয়া হবে৷ জেড প্লাস নিরাপত্তায় সর্বভারতীয় ক্ষেত্রে দায়িত্বে থাকবেন সিআরপিএফ এর ১০০ জন জওয়ান৷ বিদেশ ভ্রমনের ক্ষেত্রেও এই নিরাপত্তা দেওয়া হবে৷গত অগাস্ট মাসেই প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং-এর এসপিজি নিরাপত্তা তুলে নেওয়া হয়৷
এতদিন শুধু মাত্র দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও গান্ধী পরিবারের জন্যই এসপিজি অর্থাৎ স্পেশাল প্রোটেকশন গ্রুপের নিরাপত্তা দেওয়া হতো৷ এই নিরাপত্তা ব্যবস্থায় ৩০০০ কমান্ডো মোতায়েন ছিল৷ দীর্ঘ ২৮ বছর পর গান্ধী পরিবারের এই বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা সরানো হল৷ এদিকে এক ঘনিষ্ট সূত্রে গান্ধি পরিবারের দাবি, এবিষয়ে তাঁদের কিছুই জানানো হয়নি৷ সংবাদমাধ্যম থেকেই এবিষয়ে জানতে পেরেছেন তারা৷
বর্ষীয়ান কংগ্রেস নেতা আহমেদ প্যাটেল সরকারের এই সিদ্ধান্তের সমালোচনা করে ট্যুইটে লিখেছেন, ‘‘ব্যক্তিগত প্রতিহিংসা থেকেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে মোদি সরকার৷ বিজেপি দুই প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর পরিবারের সদস্যদের জীবনের সঙ্গে আপস করছে৷’’
The BJP has descended to the ultimate personal vendetta mechanism, compromising the lives of family members of 2 Former Prime Ministers to acts of terror and violence.
— Ahmed Patel (@ahmedpatel) November 8, 2019
যদিও বিষয়টি জানার পর এসপিজি কমান্ডোদের উদ্দেশ্যে ধন্যবাদ জানিয়ে ট্যুইটারে রাহুল গান্ধী লেখেন, ‘‘বছরের পর বছর পরিবার ও আমাকে নিরাপত্তায় অক্লান্ত পরিশ্রম করা এসপিজির সব জওয়ানদের ধন্যবাদ৷ এই দীর্ঘ যাত্রায় পাশে থাকার জন্য কৃতজ্ঞ আমি৷ বহু ভালোবাসা পেয়েছি৷ শিখেছি অনেক কিছু৷ আমার সৌভাগ্য, আপনাদের সংসর্গে থাকার সুযোগ পেয়েছি বলে৷ ভবিষ্যতের জন্য শুভকামনা৷’’
A big thank you to all my brothers & sisters in the SPG who worked tirelessly to protect me & my family over the years. Thank you for your dedication, your constant support & for a journey filled with affection & learning. It has been a privilege. All the best for a great future.
— Rahul Gandhi (@RahulGandhi) November 8, 2019
সরকারের এই সিদ্ধান্ত প্রসঙ্গে এসপিজির এক আধিকারিকের জানিয়েছেন গান্ধী পরিবার এসপিজিকে সুষ্ঠুভাবে কার্য পরিচালনায় অসহযোগিতা ও বাধা প্রদান করে আসছে৷ আততায়ীর আক্রমণে ইন্দিরা গান্ধীর মৃত্যুর পরেই প্রধানত এসপিজির চিন্তা ভাবনা শুরু হয় ৷ পরবর্তীকালে রাজীব গান্ধীর হত্যার পরে এই আইনের সংশোধন করা হয়৷ তখন থেকেই গান্ধী পরিবারের সদস্যদের এই বিশেষ নিরাপত্তা দেওয়া হচ্ছে৷ শুক্রবার সরকারের এই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের বাড়ির সামনে বিক্ষোভ দেখায় কংগ্রেস কর্মীরা৷ সরকারি সূত্রের দাবি, নিরাপত্তার বিষয়টি পর্যালোচনা করেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে৷ প্রতি পাঁচ বছর এই পর্যালোচনা করা হয়৷