মুম্বই ও লখনউ: উত্তরপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ও বহুজন সমাজ পার্টির নেত্রী মায়াবতীকে নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্য করায় রাষ্ট্রপুঞ্জের বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ বিষয়ক সংস্থার দূতের পদ থেকে সরানো হল অভিনেতা রণদীপ হুডাকে। ন’বছর পুরনো একটি ভিডিও ভাইরাল হয়ে যাওয়ায় তাঁকে পদ খোয়াতে হল৷
সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় রণদীপের একটি পুরনো ভিডিও ভাইরাল হয়। এই ভিডিওটি ২০১২ সালের৷ সে বছর একটি অনুষ্ঠানে মায়াবতীকে নিয়ে খারাপ ভাষায় ঠাট্টা করেন অভিনেতা রণদীপ। সেই ভিডিও মুহূর্তে ভাইরাল হয়ে যায়, যা নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়৷ রণদীপের মন্তব্য বর্ণবিদ্বেষমূলক ও নারী বিরোধী বলে অভিযোগ করেন নেটাগরিকরা। এরপরই ভিডিওটি রাষ্ট্রপুঞ্জের কনভেনশন ফর দ্য কনসারভেশন অফ মাইগ্রেটরি স্পিসিস অফ ওয়াইল্ড অ্যানিম্যালস (সিএমএস) কর্তৃপক্ষের নজরে আসে। তাঁর মন্তব্যের তীব্র নিন্দা করেন তারা এবং দূতের পদ থেকে রণদীপকে সরানো হয়৷ এনিয়ে সিএমএস সচিবালয়ের তরফে একটি বিবৃতি প্রকাশ করা হয়েছে। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘ভিডিওতে রণদীপের মন্তব্য আপত্তিকর এবং সিএমএসের মূল্যবোধ বিরোধী। বন্যপ্রাণী সংরক্ষণের ক্ষেত্রে অভিনেতা রণদীপকে ভালো কাজ করতে দেখে ২০২০ সালেযর ফেব্রুয়ারি মাসে তাঁকে তিন বছরের জন্য সিএমএসের দূত হিসেবে নিয়োগ করা হয়৷ তবে তখন এই ভিডিওটি সিএমএসের নজরে পড়েনি। সম্প্রতি ভিডিওটি সোশ্যাল মিডিয়ায় এই মন্তব্য ভাইরাল হতেই এই বিষয়টি সিএমএসের নজরে পড়ে।’
বিবৃতিতে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, সিএমএস রাষ্ট্রপুঞ্জের একটি চুক্তি বিষয়ক সংস্থা৷ এটি রাষ্ট্রপুঞ্জের সচিবালয় বা রাষ্ট্রপুঞ্জের পরিবেশ কর্মসূচির থেকে আলাদা, যেখানে ৪৪ বছরের হুডা ব্র্যান্ডস অ্যাম্বাসাডর৷ এই মন্তব্যের জন্য সোশ্যাল মিডিয়ায় সমালোচনার মুকে পড়তে হচ্ছে এই অভিনেতাকে৷ অনেকেই তাঁর মন্তব্যের জন্য উত্তরপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ও বহুজন সমাজ পার্টির নেত্রী মায়াবতীর কাচে তাঁকে ক্ষমা চেয়ে নিতে বলছেন৷ যদিও শুক্রবার টুইটারে ট্রেন্ডিং হয় অ্যারেস্ট রণদীপ হুডা৷ অনেক টুইটার ব্যবহারকারী এই অভিনেতার বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ করার বিষয়ে সওয়াল করেছেন৷