কলকাতা: সংখ্যালঘু ইস্যুতে মমতার ‘সংখ্যালঘু উগ্রবাদী’ খোঁচা এক এক করে ফেরত দিচ্ছে এআইএমআইএম৷ মঙ্গলবারই দলের প্রধান আসাউদ্দিন ওয়াইসি তাঁকে সুবিধাবাদী মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন৷ এরপর বুধবার একই সুরে মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিলেন এরাজ্যে দলের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা জামিরুল হাসান৷ মমতাই এরাজ্যে বিজেপিকে নিয়ে এসেছে বলে ক্ষোভ প্রকাশ করেন তিনি৷
পাশাপাশি ইন্ডিয়া টুডেকে দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারে নন্দীগ্রামকাণ্ডের সময় দুই দলীয় প্রধানের একসঙ্গে একটি ছবি (সত্যতা যাচাই করেনি আজ বিকেল ডট কম) প্রকাশ করে তিনি বলেন, একসময় নন্দীগ্রাম ইস্যুতে ওয়াইসিকে পাশে পেয়েছিলেন মমতা৷ রাজনীতির শুরুতে তিনি নিজেও তৃণমূলের সাপোর্টার ছিলেন৷ কিন্তু তৃণমূলের প্রথম লোকসভা নির্বাচনে অংশগ্রহনের পর এনডিএতে যোগ দিয়েছিলেন মমতা৷ পরে তার মন্ত্রীরাই আবার বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন৷ একে ভোটের রাজনীতি বলেও উল্লেখ করেন হাসান৷
ইন্ডিয়া টুডেকে দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারে তিনি আরও বলেন, এবার লোকসভা নির্বাচনেই প্রার্থী দিতে চেয়েছিল এআইএমআইএম৷ কিন্তু এতে তৃণমূলের ভোটে আঁচ পড়তে পারে সেই চিন্তাভাবনা করেই ওয়াইসি র নির্দেশে পিছিয়ে আসে দল৷ কিন্তু এরাজ্যের সংখ্যলঘুদের জন্য কিছুই করে উঠতে পারেননি মমতা৷ তাই নিজেদের সম্প্রদায়ের অধিকারের জন্য এবার নিজেরাই লড়াই করবে দল৷ এনআরসিতে এরাজ্যের সংখ্যালঘুদের ওপর কোনো আঁচ আসবে না৷ এমনকি এরাজ্যে এনআরসি হবে না বলেই চ্যালেঞ্জ জানিয়েছন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ কিন্তু একুশের নির্বাচনে এআইএমআইএম তাদের প্রার্থী দিলে রাজ্যরাজনীতির সমীকরণটা ঠিক কি দাঁড়াবে সেটাই দেখার৷
নির্বাচনের পর থেকেই এনআরসি ইস্যুতে উত্তাল দেশ, সেই আঁচ এবারের শীতকালীন সংসদ অধিবেশনকেও উত্তপ্ত করেছে৷ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী স্পষ্টতই জানিয়েদিয়েছেন এনআরসি হবেই৷ তবে এরাজ্য তার আঁচও পড়তে দেবেননা বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন তৃণমূল সুপ্রিমো তথা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷