নয়াদিল্লি: ভারতের একটি পবিত্র সেতুতে জামাকাপড় ছাড়াই নিজের ভিডিও শুট করছিলেন এক ফরাসি মহিলা। সেই অভিযোগে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হওয়া। তবে ওই মহিলা কৃতকার্যের জন্য ক্ষমা চেয়েছিলেন। কিন্তু তিনি সম্পূর্ণ উলঙ্গ হওয়ার বিষয়টি অস্বীকার করেন এবং বলেন যে তিনি যৌন হয়রানির জন্য মোটেই কাউকে উৎসাহিত করছিলেন না।
পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে যে ২৭ বছর বয়সী ওই মহিলার নাম মেরি হেলিন। তিনি বিটলস দ্বারা ১৯৬০ সালে নির্মিত গঙ্গার উপর লক্ষ্মণঝুলা ফুটব্রিজে উলঙ্গ হয়ে ফোটোশুট করছিলেন। সেতুটি পর্যটক এবং যোগ অনুশীলনকারীদের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ স্থান। তাই দেশটির ইন্টারনেট আইন অনুযায়ী তাঁর উপর অভিযোগ ওঠেছে এবং তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
স্থানীয় থানার ভারপ্রাপ্ত পুলিশ অধকর্তা আর কে সাকলানি জানিয়েছেন, “ওই মহিলা আমাদের জানিয়েছিলেন তিনি অনলাইনে মালা বিক্রি করেন এবং এই শুটিংয়ের উদ্দেশ্য ছিল তার ব্যবসার প্রচার করা।” তবে সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া এক বিবৃতিতে মেরি হেলিন বলেন যে তিনি যখন এই কাজ করছিলেন তখন কেউই তাঁর আশেপাশে ছিল না। এছাড়া ভারতে হয়রানি সম্পর্কে সচেতনতা বাড়াতে তিনি এ কাজ করেছিলেন। তিনি লেখেন, “আমি লক্ষ্মণঝুলার উপর যখনই যাই প্রতিবারই মনে হয়ে যে আমি হয়রানির শিকার হচ্ছি। আমার ভারতীয় বোনেদেরও নিশ্চয়ই একই অনুভূতি হয়। আমার মূল লক্ষ্য ছিল নিপীড়িত ভারতীয় মহিলাদের শিক্ষা ক্ষেত্রে সহায়তা করা এবং অপমানজনক বিয়ে বা পরিস্থিতি থেকে বেরিয়ে আসা তবে এর জন্য আমি স্থানীয়দের কাছে ক্ষমা চাইছি। আমি এখানকার সাংস্কৃতিক বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে আমার সচেতনতার অভাব ছিল।”
নয়াদিল্লি: ভারতের একটি পবিত্র সেতুতে জামাকাপড় ছাড়াই নিজের ভিডিও শুট করছিলেন এক ফরাসি মহিলা। রবিবার সেই অভিযোগে তাঁকে আটক করা হওয়া। তবে ওই মহিলা কৃতকার্যের জন্য ক্ষমা চেয়েছিলেন। কিন্তু তিনি সম্পূর্ণ উলঙ্গ হওয়ার বিষয়টি অস্বীকার করেন এবং বলেন যে তিনি যৌন হয়রানির জন্য মোটেই কাউকে উৎসাহিত করছিলেন না।পুলিশ জানিয়েছে, মেরি হেলিনকে বৃহস্পতিবার গ্রেপ্তার করা হয়। তবে পরে তাঁকে জামিনে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। তদন্তের অংশ হিসাবে তার মোবাইল ফোনটি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় ফুটেজ পোস্ট হওয়ার পরেই পুলিশের নজরে আসে বিষয়টি। তারপরই ওই ফরাসি মহিলাকে গ্রেপ্তার করা হয়।