নয়াদিল্লি: এবার করোনার কোপ পড়ল ঋণ বাজারে৷ নগদ অর্থের অভাবে ৬টি ঋণ প্রকল্প বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিল ফ্রাঙ্কলিন টেম্পলটন মিউচুয়াল ফান্ড।
করোনা পরিস্থিতিতে লকডাউনের জেরে ভেঙে পড়েছে দেশের অর্থনীতি৷ বাজারে টাকার জোগান কার্যত নেই। এই পরিস্থিতিতে বিনিয়োগকারীদের টাকা বাঁচানোর লক্ষ্যে প্রকল্পগুলি বন্ধ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তবে কীভাবে তারা এই প্রকল্পগুলি বাজার থেকে গুটিয়ে নেবে, সে সম্পর্কে এখনও সংস্থার পক্ষ থেকে স্পষ্ট করে কিছু জানানো হয়নি৷ তবে প্রতিদিন প্রকল্পগুলির নেট অ্যাসেট ঘোষণা করা হবে বলে উল্লেখ করা হয়েছে৷
যে প্রকল্পগুলি তুলে নেওয়া হবে, সেগুলি হল- ফ্রাঙ্কলিন ইন্ডিয়া লো ডিউরেশন ফান্ড, ডায়নামিক অ্যাকরুয়াল ফান্ড, ক্রেডিট রিস্ক ফান্ড, শর্ট টার্ম ইনকাম প্ল্যান, আলট্রা শর্ট বন্ড ফান্ড ও ইনকাম অপারচুনিটিজ ফান্ড। প্রায় এক মাস হতে চলল দেশে লকডাউন চলছে৷ বন্ধ রয়েছে যাবতীয় অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড৷ বাজারে দেখা দিয়েছে অর্থের অভাব৷ যার প্রভাব পড়েছে ফ্রাঙ্কলিন টেম্পলটনের মতো মিউচুয়াল ফান্ডের উপরও৷ বাধ্য হয়েই ৬টি ফান্ড বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে তারা৷ এই ফান্ডগুলির সঙ্গে প্রত্যক্ষ সম্পর্ক রয়েছে হায়ার ইয়েল্ডিং, লোয়ার রেটেড ক্রেডিট সিকিউরিটির। তবে শেয়ার সংক্রান্তই হোক বা ঋণ অথবা হাইব্রিড- ফ্রাঙ্কলিন টেম্পলটনের অন্যান্য যে সব ফান্ড ভারতের বাজারে রয়েছে, সেগুলির ওপর এই সিদ্ধান্তের কোনও প্রভাব পড়বে না।
ফ্রাঙ্কলিন টেম্পলটনের প্রেসিডেন্ট সঞ্জয় সাপ্রে বলেন, বিনিয়োগকারীদের অর্থ বাঁচাতে এই সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হয়েছেন তাঁরা৷ লকডাউনের জেরে বাজারে যে বিপুল অর্থাভাব দেখা দিয়েছে, তার জেরেই এই সিদ্ধান্ত৷ সংস্থার প্রেসিডেন্ট ও সিইও জেনি জনসনের কথায়, ভারতে ২৫ বছরের পুরনো ইতিহাস রয়েছে তাঁদের৷ গোটা বিশ্বে তাঁদের মোট কর্মীর ৩৩ শতাংশই ভারতীয়। এই সংকটের সময়ে এই ফান্ডগুলিতে বিনিয়োগকারীদের স্বার্থ সুরক্ষিত করতে এমন কঠোর সিদ্ধান্ত তাঁদের নিতেই হত। আবার সংস্থার সিআইও সন্তোষ কামাথ বলেন, গত ১০ থেকে ১৫ বছরের বেশি সময় ধরে একাধিক ফান্ড পরিচালনা করছে ফ্রাঙ্কলিন টেম্পলটন। কিছু ফান্ডের অবস্থা খারাপ হলেও মনে করা হচ্ছে, এগুলির জামানত এখন যেমন আছে তেমনই থাকবে৷