লখনউ: ফের গণধর্ষণ এবং খুনের ঘটনা ঘটলো উত্তরপ্রদেশে। ফের ‘নিম্নবর্ণের’ পরিবারের উপর আক্রমণের ঘটনা যোগীর রাজ্যে। একই পরিবারের চারজন সদস্যকে খুন করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। পাশাপাশি খুনের আগে গণধর্ষণ করা হয়েছে বলেও অনুমান পুলিশের। সব মিলিয়ে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এই ঘটনার প্রেক্ষিতে।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, উত্তরপ্রদেশের প্রয়াগরাজে ঘটে যাওয়া এই ঘটনায় নিহতদের মধ্যে রয়েছে ১০ বছরের এক বালক এবং ১৬ বছরের এক কিশোরীও। ওই কিশোরীকে খুন করার আগে গণধর্ষণ করা হয়েছে বলে অনুমান। স্থানীয় বাসিন্দাদের বক্তব্য যে, ওই পরিবার ‘নিম্নবর্ণের’ তাই তাদের উপর আক্রমণ করেছে প্রতিবেশী এক ‘উচ্চবর্ণের’ পরিবার! এর আগেও তাদের ওপর অত্যাচার করা হয়েছে বলে অভিযোগ তাদের। এখন একই পরিবারের এই সদস্যদের খুনের ঘটনা স্বাভাবিকভাবে আতঙ্ক সৃষ্টি করেছে এলাকায়। এই ঘটনা নিয়ে ইতিমধ্যেই রাজনৈতিক টানাপোড়েনের শুরু হয়ে গিয়েছে কারণ এদিন দুপুরেই ওই পরিবারের বাকি সদস্যদের সঙ্গে দেখা করতে যান কংগ্রেস নেত্রী প্রিয়াঙ্কা গান্ধী।
প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিশ জানিয়েছে, পরিবারের অন্য সদস্যদের ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে খুন করা হয়েছে এবং সকলের মৃতদেহ ছিল বাড়ির উঠোনে কিন্তু কিশোরীর মৃতদেহ ছিল তার নিজের ঘরে। প্রত্যেকের শরীরে গভীর ক্ষত চিহ্ন মিলেছে এবং কিশোরীর ক্ষত চিহ্ন দেখে অনুমান করা হচ্ছে যে তাকে খুন করার আগে ধর্ষণ করা হয়েছে। ইতিমধ্যেই এই ঘটনায় ১১ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে উত্তরপ্রদেশ পুলিশ।
স্থানীয় বাসিন্দাদের মতে, দুই পরিবারের মধ্যে বিগত কয়েক বছর ধরেই ব্যাপক সমস্যা ছিল এবং গত সেপ্টেম্বর মাসে সেই সমস্যার চূড়ান্ত আকার ধারণ করে। সেই সময় ওই পরিবারের সদস্যদের মারধর পর্যন্ত করে তারা বলেও অভিযোগ। সেই ঘটনায় পুলিশের অভিযোগ দায়ের হয়েছিল কিন্তু নির্যাতিত পরিবারের বিরুদ্ধে! তখন পুলিশ কোনরকম পদক্ষেপ নেয়নি বলেও অভিযোগ উঠছে।