ছত্তীসগড়ে CRPF ক্যাম্পে জওয়ানের গুলিতে নিহত চার সহকর্মী, জখম ৩

 সুকমায় সিআরপিএফ ক্যাম্পে  নিহতদের মধ্যে  একজন বাঙালি জওয়ানও, বাড়ি নদিয়া

রায়পুর:  ছত্তীসগড়ের সুকমায় সিআরপিএফ ক্যাম্পে এলোপাথাড়ি গুলি৷ নিহত ৫০ নম্বর ব্যাটেলিয়নের চার জওয়ান। জখম হয়েছেন আরও ৩ জন। তবে বাইরের কোনও ব্যক্তি নয়, সুকমার মারাইগুড়া থানা এলাকায় লিঙ্গমপল্লি ক্যাম্পের ভিতরে সহকর্মীদের লক্ষ্য করে গুলি চালান এক জওয়ান৷ এই ঘটনায় রীতিমতো চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে লিঙ্গমপল্লি ক্যাম্পে৷ নিহতদের মধ্যে একজন বাংলার ছেলে৷

আরও পড়ুন- ভাইফোঁটার আনন্দে মেতে উঠলেন ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী, ফোঁটা নিলেন কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী

রাজ্যের বস্তার অঞ্চলের ইন্সপেক্টর জেনারেল সুন্দররাজ পি বলেন, রাজধানী রায়পুর থেকে প্রায় ৪০০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত লিঙ্গামপল্লি গ্রামে৷ ওই গ্রামে সিআরপিএফের ৫০ নম্বর ব্যাটেলিয়নের ক্যাম্পে ভোর সাড়ে ৩টে নাগাদ এই ঘটনা ঘটে৷ ওই জওয়ানের ছোড়া এলোপাথাড়ি গুলিতে চার জনের মৃত্যু হয়েছে। জখম হয়েছেন আরও তিন জন। 

প্রাথমিক ভাবে জানা গিয়েছে, ওই জওয়ান একে-৪৭  রাইফেল দিয়ে নিজের সহকর্মীদের উপর গুলি চালান৷ অভিযুক্ত জওয়ানকে অবিলম্বে আটক করা হয়৷ তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে৷ পুলিশের আইজি আরও জানান,  জখম সিআরপিএফ জওয়ানদের স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। নিহত জওয়ানরা হলেন ধনজি, রাজীব মণ্ডল, রাজমণি কুমার যাদব ও ধর্মেন্দ্র কুমার। জখম তিন জওয়ানের নাম ধনঞ্জয় সিং, ধর্মাত্মা কুমার এবং  রঞ্জন মহারানা। পুলিশ জানায়, নিজেদের মধ্যে বচসার জেরেই এই ঘটনা৷  একে-৪৭ রাইফেল দিয়ে সহকর্মীদের লক্ষ্য করে গুলি চালিয়ে দেন ওই জওয়ান৷ খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে পৌঁছন সিআরপিএফ অফিসাররা৷ 

সুকমায় সিআরপিএফ ক্যাম্পে  নিহতদের একজন বাঙালি জওয়ানও। তাঁর নাম রাজীব মণ্ডল৷ তাঁর বাড়ি নদিয়ায়।  বয়স ৩২। গত মাসেই পুজোর ছুটিতে বাড়িতে এসেছিলেন তিনি৷ ছুটি কাটিয়ে কাজে যোগ দেওয়ার পরেই এই মর্মান্তিক ঘটনা৷ পরিবারে রয়েছে বাবা, মা, স্ত্রী, দুই মেয়ে এবং দুই ভাই৷ ২০১১ সালে চাকরিতে যোগ দিয়েছিলেন রাজীব৷ তাঁর মৃত্যুতে শোকের ছায়া তাঁর গ্রামে৷  
 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

eleven − 7 =