নয়াদিল্লি: ভারত-চিন সংঘর্ষ আবহে এবার কূটনৈতিক স্তরে বড়সড় বদল আনতে চলেছে পাকিস্তান৷ চীনের পাশে দাঁড়িয়ে ভারতে নিযুক্ত প্রাক্তন ডেপুটি হাইকমিশনারকে এবার নেপাল ও চিনে নিয়োগ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রশাসন৷ আর তাতেই নেপালকে জড়িয়ে পাকিস্তানের নয়া চাল নতুন করে চিনা আগ্রাসন আরও চওড়া হতে চলেছে বলে মনে করছেন ভদ্রলোকের একাংশ৷
সর্বভারতীয় সংবাদ মাধ্যম সূত্রে জানা গিয়েছে, নেপালের রাষ্ট্রদূত করা হচ্ছে সৈয়দ হায়দার সেখকে৷ এখন তিনি ডেপুটি কমিশনার হিসেবে দিল্লিতে নিযুক্ত৷ ভারতে নিযুক্ত প্রাক্তন দূত যাচ্ছেন চিনে৷ প্রাক্তন রাষ্ট্রদূতকে চিনে পাঠাচ্ছে পাকিস্তান৷ ভারতে পাক হাইকমিশনার ছিলেন মহিদুল হক৷ ভারতে কাজের অভিজ্ঞতা আছে, এমন কেউকে নেপাল ও চিনে নিয়োগ করার কৌশল ঘিরে নতুন করে চিন্তা বেড়েছে ভারতে?
কিন্তু পাকিস্তানের হঠাৎ কেন এই রদবদল? পর্যবেক্ষক মহলের একাংশ, ভারতের ওপর চাপ বাড়াতে ইতিমধ্যেই নেপালকে উস্কানি দিয়েছে চিন৷ সঙ্গে পাকিস্তানকে বন্ধ হয়েছে চিন৷ এমনিতেই চিনা নীতির মধ্যে অন্যতম, শত্রু দেশকে তার প্রতিবেশী দেশের সঙ্গে লড়িয়ে ভেরত ও বাইরে থেকে সংঘাত জারি রাখা৷
এবার পাকিস্তানকে কাজে লাগিয়ে, নেপালের সঙ্গে আরও সখ্যতা বাড়িয়ে চিন কার্যত দু’দিক থেকে আক্রমণ চালাতে শুরু করেছে৷ ইতিমধ্যেই বন্ধু নেপালের সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক কিছুটা অবনতি হয়েছে৷ ভারতীয় তিনটি ভূখণ্ড যুক্ত করে নতুন মানচিত্র প্রকাশ করেছে নেপাল প্রশাসন৷ তা নিয়েও তৈরি হয়েছে বিতর্ক৷ এবার ভারতে কাজের অভিজ্ঞতা রয়েছে, এই দূতদের চিন ও নেপালে পাকিস্তানের নিয়োগ ঘিরে নতুন করে তৈরি হয়েছে বিতর্ক৷ একদিকে চিনের বিরুদ্ধে সংঘাত, অন্যদিকে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে লড়াই, বন্ধ নেপালের সঙ্গে সম্পর্কের অবনতি ভরপুর কাজে লাগানোর চেষ্টা শুরু করেছে চিন৷ এই অবস্থায় চিনের পাশে দাঁড়িয়ে পাকিস্তানের নয়া চাল, বেশ তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছেন পর্যবেক্ষক মহলের একাংশ৷
অন্যদিকে, পিএমও’র তরফে জানানো হয়েছে, লাদাখে ইন্দো-চিন সংঘর্ষ পরিস্থিতি নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদির মন্তব্যের ভুল ব্যাখ্যা দেওয়া হচ্ছে৷ প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের ভুল ব্যাখ্যা দেওয়ার চেষ্টা করছেন অনেকে৷ ভারতীয় ভূখণ্ডের চিনা বাহিনীর কোনও অস্তিত্ব নেই৷ গালওয়ানে এনওসিতে চিনা বাহিনী অনুপ্রবেশ করার চেষ্টা করেছিল৷ তাদের ওই অনুপ্রবেশ রুখতে গিয়ে রক্তাক্ত সংঘর্ষ ঘটেছে৷ এলওসিতে পরিকাঠামো নির্মাণ করে চিনা বাহিনী৷ নিষেধ করা সত্ত্বেও পরিকাঠামো গুটিয়ে নিতে অস্বীকার করে চিন৷ আর তা নিয়ে সংঘর্ষ বাধে৷ বিহার রেজিমেন্ট বীরত্বের সঙ্গে রুখে দিয়েছে চিনা আগ্রাসন৷ গতকাল ২০ দলীয় বৈঠকে এই বিষয়গুলি প্রধানমন্ত্রী নিজে স্পষ্ট করেছেন৷ এরপরও প্রধানমন্ত্রীর মন্তব্যকে কেন্দ্র করে বিতর্ক দুর্ভাগ্যজনক৷ বিবৃতি প্রকাশ করেছে প্রধানমন্ত্রীর সচিবালয়৷