পাটনা: রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে তাঁদের বিরোধ। সেই বিরোধ দেখাতে গিয়েই এক সময় একের পর এক স্কুল বাড়ি ধ্বংস করেছিল মাওবাদীরা। কিন্তু আত্মসমর্পণ করার পর সেই স্কুলগুলো পুনর্গঠনের কাজ শুরু করেছে প্রাক্তন মাওবাদী জঙ্গিরা। এই খবর উঠে এসেছে ছত্তিশগড়ের বস্তার অঞ্চল থেকে।
ছত্তিশগড়ের দন্তেওয়াড়া জেলার বস্তার মহকুমায় ২০০৭-২০০৯ সালের মধ্যে ভেঙে ফেলা হয় এক ডজন স্কুল। এখন সেই স্কুল পুনর্গঠনের কাজ চলছে। সেই কাজ করছেন প্রাক্তন মাওবাদীরা। এই স্কুলগুলি দন্তেওয়াড়ার সিপিআই (মাওবাদী) বৈরামগড়, মলঙ্গির ও কাটেকল্যাণ কমিটির এলাকায় পড়ে। প্রায় এক সপ্তাহ আগে জেলা সদরের থেকে ২০ কিমি দূরের ভানসি গ্রামে ভেঙে ফেলা স্কুল পুনর্গঠননের কাজ শুরু করে প্রাক্তন মাওবাদীরা। সেই কাজে গ্রামবাসীরা হাত লাগায় বলে জানা গিয়েছে।
এই গ্রামের প্রধান অজয় টেলাম জানিয়েছেন, ২০১২ সালে ওই স্কুলটি ভেঙে ফেলা হয়। মাওবাদীরাই ওই স্কুল ভেঙে ফেলেছিল। কিন্তু এখন সেই মাওবাদীরাই স্কুল তৈরি করার চেষ্টা করছে। এখনও আত্মসমর্পণ করা মাওবাদীরাই স্কুল তৈরি করেছে। গ্রামবাসীরাও চাইছে, স্কুলে পড়ুক শিশুরা। এ ভাবেই পোটালি, বুরগুম, নহরি, কুত্রেম ও আলনার গ্রাম পঞ্চায়েতের ধ্বংসপ্রাপ্ত স্কুলগুলিকে নতুন করে তৈরি করার পরিকল্পনা রয়েছে। দন্তেওয়াড়া প্রশাসন ও স্থানীয় পুলিশও জানিয়েছে, গ্রামবাসীদের ভুল বুঝিয়ে মাওবাদীরা স্কুলটা ধ্বংস করে দিয়েছিল। কিন্তু এখন গ্রামবাসীরা নিজেরাই চাইছে স্কুল হোক। তাঁদের সন্তান স্কুলে গিয়ে শিক্ষিত হোক।