নয়াদিল্লি: চিনি উৎপাদক রাজ্যগুলিকে কড়া হুঁশিয়ারি দিল কেন্দ্র। সরকারি নূন্যতম সহায়ক মূল্যের কমে যাতে মিলগুলি চিনি বিক্রি না করে সেই নিয়ে কেন্দ্রীয় ক্রেতা সুরক্ষা মন্ত্রকের খাদ্য বিভাগের পক্ষ থেকে পাঠানো হল চিঠি। মহারাষ্ট্র ও কর্নাটকের অধিকাংশ মিলের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তারা কেন্দ্রের নির্ধারিত মূল্যের থেকে কম দামে চিনি বিক্রি করছে। এতে চিনি শিল্পেরই ক্ষতি হতে পারে।
করোনা মহামারীর জন্য গত প্রায় একবছর ধরে দেশে প্রায় অনেক কিছুর উপরেই নিষেধাজ্ঞা জারি হয়েছে। ভাঁটা পড়েছে বিভিন্ন উৎসব-অনুষ্ঠানের আয়োজনেও। আর তাই বাজারে চিনির চাহিদা দিন দিন কমে আসছে, বিক্রিও গিয়েছে কমে। কিন্তু মিলগুলিকে আখ চাষীদের প্রাপ্য টাকা মেটাতেই হবে। অন্যদিকে, মিল চালানোর খরচও তুলতে হবে। তাই মিলগুলি সরকার নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে কমে চিনি বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছে। কিন্তু এতে খুব একটা সন্তুষ্ট হয়নি কেন্দ্র।
২০১৮ সালে চিনির সরকারি সহায়ক মূল্য নির্ধারণ করে দেওয়া হয়। মিলগুলিকে প্রতি কুইন্টাল চিনির দাম ৩১০০ টাকা ধার্য করে দেয় কেন্দ্র। কিন্তু মহারাষ্ট্র ও কর্নাটকের অধিকাংশ চিনি মিল লকডাউন পরিস্থিতিতে প্রতি কুইন্টাল ২৫০০ থেকে ২৭০০ টাকায় বিক্রি করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। মহারাষ্ট্রের সোলাপুরের প্রায় সব মিল, মারাঠওয়াড়া ও আহমেদনগরের অধিকাংশ মিলই এইভাবে চিনি বিক্রির পথে হাঁটে। বোম্বে সুগার মার্চেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সেক্রেটারি জেনারেল মুকেশ কুভেদিয়া এ বিষয়ে জানান, “চাহিদা নেই বলেই চিনির দাম কম। কন্টেনারের অভাবে রফতানিও বন্ধ। এদিকে কৃষকদের টাকাও মেটাতে হবে। তাই বাধ্য হয়েই মিলগুলি এই পথ নিয়েছে।”
কিন্তু মিলগুলির এই সিদ্ধান্তে না-খুশ কেন্দ্র। চিনি উৎপাদনকারী রাজ্যগুলিকে হুঁশিয়ারি দিয়ে কেন্দ্র তাই কড়া চিঠি পাঠিয়েছে। তাতে স্পষ্টভাবে জানানো হয়েছে, এভাবে সরকারি মূল্যের চেয়ে কম দামে চিনি বিক্রির জন্য চিনি শিল্পের বিশেষ ক্ষতি হয়ে যাচ্ছে। জানতে চাওয়া হয়েছে কম দামে চিনি বিক্রি করে এমন মিলগুলির নামও। তাদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছে কেন্দ্র।