দেরাদুন: উত্তরকাশির সুড়ঙ্গে ১০ দিন ধরে আটকে পড়া শ্রমিকদের দেখা মিলেছিল গতকাল। একটি ক্যামেরাকে ৬ ইঞ্চি পাইপের মাধ্যমে সুড়ঙ্গের ভিতরে পাঠানো হয়। যে ক্যামেরার মাধ্যমেই দেখতে পাওয়া গিয়েছে আটকে পড়া শ্রমিকদের। তবে শুধু দেখা নয়, তাঁদের সঙ্গে কথা বলাও সম্ভব হয়েছে এবং খাবার পাঠানোও। মঙ্গলবার প্রথমবার খিচুড়ি পাঠানো হয়েছিল তাঁদের। এবার একাধিক রকমের খাবার পাঠানোর হয়েছে শ্রমিকদের।
খিচুরি তো ছিলই, সুড়ঙ্গে আটকে পড়া শ্রমিকদের এবার পাঠান হল পোলাও, মটর পনির এবং দু’টি করে রুটি। আসলে দীর্ঘ সময়ে আটকে থাকার ফলে তাঁদের শারীরিক অসুস্থতা হতে পারে, এই ভেবেই শ্রমিকদের ভালো-মন্দ খাবার পাঠানো হচ্ছে। গতকাল রাতে পাইপের ভিতর দিয়ে প্রায় দেড়শোটি খাবারের প্যাকেট শ্রমিকদের কাছে পাঠানো হয়েছে। যদিও এইসব খাবার সাধারণভাবে না বানিয়ে চিকিৎসকদের পরামর্শ মতো বানানো হয়েছে। যাতে শ্রমিকদের হজমের কোনও সমস্যা না হয়। পাশাপাশি জানা গিয়েছে, খাবারের সঙ্গে আপেল, লেবুর মতো ৫ থেকে ১০ কেজি ওজনের ফল পাঠানো হয়েছে। এছাড়া শ্রমিকদের মানসিক অবসাদ কাটাতে পাঠানো হয়েছে অ্যান্টি ডিপ্রেসান্ট ওষুধও।
প্রাথমিক পর্যায়ে জানা গিয়েছিল, শ্রমিকদের উদ্ধার করতে ৬০ মিটার পর্যন্ত গর্ত তৈরি করার পরিকল্পনা আছে। এরপর সেই গর্তে ৮০০ এবং ৯০০ মিলিমিটার ব্যাসের একটি পাইপ ঢুকিয়ে তার মধ্যে দিয়ে বার করে আনা হবে শ্রমিকদের। কিন্তু উদ্ধারকাজ চলাকালীন সম্প্রতি আরও একটি ফাটলের আওয়াজ পাওয়া যায় সুড়ঙ্গের ভিতর থেকে। যার ফলে উদ্ধারকাজ কিছু সময়ের জন্য বন্ধ থাকে। আপাতত উদ্ধারকাজ সম্পন্ন করতে ঠিক কত দিন লাগবে তা নির্দিষ্ট করে বলা যাচ্ছে না।