নয়াদিল্লি: কেন্দ্র সরকারকে সম্পূর্ণ অন্ধকারে রেখেই করোনিলের বিজ্ঞাপন দিয়েছিল পতঞ্জলী। জানানো হয়েছিল, করোনিলে করোনা সেরে যাবে। মঙ্গলবার রীতিমতো সাংবাদিক বৈঠক করে এই খবর পতঞ্জলীর তরফে জানানো হয়েছিল। কিন্তু করোনার ওষুধ তৈরির বিষয়ে কোনও ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল হয়নি। শুধু তাই নয়, কেন্দ্রীয় সরকারের অনুমোদনও নেওয়া হয়নি। এর জেরে প্রবল বিতর্কের সৃষ্টি হয়। বিতর্কের মধ্যেই নিজেদের অবস্থান থেকে সরে আসে রামদেবের পতঞ্জলী। পতঞ্জলীর তরফে জানানো হয়েছে, কোনও বিজ্ঞাপন দেওয়া হয়নি, শুধু করোনিলের খবর প্রকাশ্যে আনা হয়েছে।
পতঞ্জলীর সিইও আচার্য বালকৃষ্ণ বলেন, আমরা কোনও বিজ্ঞাপন দিইনি। আমরা শুরু ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের কথা বলেছিলাম। তিনি জানিয়েছেন, আয়ুশ মন্ত্রকের আইন মেনেই কোরোনিল তৈরি করা হয়েছে। যদিও মঙ্গলবারের সাংবাদিক বৈঠকে রামদেব অন্য কথা বলেছিলেন। তিনি জানিয়েছিলেন, করোনা ভাইরাসে ১০০ শতাংশ কাজ দেবে কোরোনিল। এই খবর প্রকাশিত হওয়ার পরেই দেশ জুড়ে বিতর্কের ঝড় উঠতে থাকে। নেটিজেনরা অভিযোগ করেন, করোনার মতো একটা গুরুতর বিষয় নিয়ে রামদেব মজা করছেন।
উত্তরাখণ্ড রামদেব ও পতঞ্জলীর বিষয়ে কঠোর ব্যবস্থার কথা ভাবছে। মহারাষ্ট্র সরকার ইতিমধ্যে কোরোনিলকে রাজ্যে ব্যান করে দিয়েছে। মহারাষ্ট্রের স্বূাস্থ্য দপ্তরের তরফে জানানো হয়েছে, ওই ওষুধের ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল হয়েছে কি না, সেই বিষয়ে খবর নেওয়া হবে। তারপরেই পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। আরও এক ধাপ ওপরে রাজস্থান। রাজস্থান সরকারের তরফে জানানো হয়েছে, কেন্দ্রীয় সরকারের অনুমোদন ছাড়া করোনার জন্য কোনও ওষুধ ব্যবহার করা হবে না। করোনা নিয়ে কোনও মসকরা সহ্য করা হবে না। কোরোনিলের প্রচার করা হলে বা রাজ্যে কোরোনিল বিক্রি হলে সেই দোকানের মালিকের পাশাপাশি রামদেবকেও জেলে ঢোকানো হবে।