Lockdown 2.0: কীভাবে বাঁচবে জীবন, জীবিকা! কোথায় মিলবে ছাড়?

করোনা পরিস্থিতিতে লকডাউনের মেয়াদ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার৷ এপ্রিল মাস পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে লকডাউনের সময়সীমা৷ করোনা সংক্রমণের হাতে থেকে মানুষের জীবন বাঁচানোর দায় যেমন রয়েছে, তেমনই অর্থনীতির চাকা সক্রিয় রাখার দায়িত্বও রয়েছে সরকারের কাঁধে৷ তাই অর্থনীতির ইঞ্জিন চালাতে লকডাউনের মাঝেই কৃষিকাজ, কলকারখানা এবং পণ্য পরিবহনের উপর ছাড় দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে মোদি সরকার৷ 

নয়াদিল্লি: করোনা পরিস্থিতিতে লকডাউনের মেয়াদ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার৷ এপ্রিল মাস পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে লকডাউনের সময়সীমা৷ করোনা সংক্রমণের হাতে থেকে মানুষের জীবন বাঁচানোর দায় যেমন রয়েছে, তেমনই অর্থনীতির চাকা সক্রিয় রাখার দায়িত্বও রয়েছে সরকারের কাঁধে৷ তাই অর্থনীতির ইঞ্জিন চালাতে লকডাউনের মাঝেই কৃষিকাজ, কলকারখানা এবং পণ্য পরিবহনের উপর ছাড় দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে মোদি সরকার৷ 

পরবর্তী পর্যায়ের লকডাউন শুরু হচ্ছে ১৫ এপ্রিল থেকে৷ কিন্তু এই পর্যায়ে কৃষিকাজ ও উৎপাদনের ক্ষেত্রে কোনও রকম বাধা নিষেধ আরোপিত হবে না৷ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি জানিয়েছেন, লকডাউনে কলকারখানাগুলির দরজা খোলা হবে৷ চলবে উৎপাদন প্রক্রিয়া৷ তবে নির্দিষ্ট সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে কাজ করতে হবে কর্মীদের৷ বিশেষ বাস, ট্রেন চালিয়ে পরিযায়ী শ্রমিকদের তাঁদের কারখানায় ফিরিয়ে আনার বিষয়েও চিন্তাভাবনা করছে কেন্দ্রীয় সরকার৷ বলা হয়েছে, সারা দেশজুড়ে সক্রিয় থাকবে পণ্য পরিবহন৷ এক্ষেত্রে জরুরি ও সামগ্রিক পণ্য পরিবহন নিয়ে বিভ্রান্তি আর থাকবে না৷ 

দিল্লি, মুম্বইয়ের মতো বড় বড় শহরে কঠোর ভাবে লকডাউন পালন করা হচ্ছে৷ ঘরবন্দি রয়েছে সাধারণ মানুষ৷ তা সত্ত্বেও অর্থনীতির চাকা গড়াবে বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল৷ মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহান বলেন, ‘‘১৫ এপ্রিলের পর থেকে লকডাউনের চরিত্র বদলে যাবে৷ বেশ কিছু জায়গায় লকডাউন শিথিল করা হবে৷’’ গত শনিবার প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে প্রতিটি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের ভিডিও বৈঠকে কমবেশি প্রায় সকলেই লকডাউনের মেয়াদ বাড়ানোর পক্ষেই সওয়াল করেছিলেন৷ দেশের ৩৬০টিরও বেশি জেলায় করোনা সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়েছে৷ দেশে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে মৃতের সংখ্যা৷ এই অবস্থায় লকডাউন তোলা সরকারের পক্ষেও সম্ভব নয়৷ 

এদিকে, রাজস্বের হার কমেছে৷ টান পড়ছে তহবিলে৷ জীবন ও জীবিকার মধ্যে সামঞ্জস্য বজায় রাখতে হিমশিম খেতে হচ্ছে রাজ্যগুলিকে৷ বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রীরা প্রধানমন্ত্রীকে জানিয়েছে, গত এক মাসে রাজস্ব ৫০ থেকে ৭৫ শতাংশ কমে গিয়েছে৷  দেশের ছয় বিরোধী শাসিত রাজ্য- দিল্লি, মহারাষ্ট্র, তেলেঙ্গানা, পশ্চিমবঙ্গ, পাঞ্জাব এবং ওডিশা ইতিমধ্যেই লকডাউনের মেয়াদ বাড়িয়ে ৩০ এপ্রিল করেছে৷ বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলিও লকডাউনের মেয়াদ বাড়ানোর পক্ষেই মত দিয়েছে৷ তবে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত তারা কেন্দ্রের হাতেই ছেড়েছে৷ সোশ্যাল ডিস্টেনসিং মেনে কোন কোন উন্নয়নমূলক কাজ করা সম্ভব তা, নির্ধারণ করার জন্য একটি বিশেষ কমিটি গঠন করেছেন উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগি আদিত্যনাথ৷ অন্যদিকে, অন্ধ্রপ্রদেশ এবং ছত্তিশগড়ের দাবি, কোন কোন বিষয়ে লকডাউন শিথিল করা হবে, সেই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা রাজ্যগুলিকেই দেওয়া উচিত৷ 

হরিয়ানার মুখ্যমন্ত্রী মনোহর লাল খট্টর বলেছেন, করোনা আক্রান্তের সংখ্যার ভিত্তিতে রাজ্যকে লাল, গেরুয়া এবং সবুজ এই তিনটি জোনে ভাগ করা হবে৷ যার উপর ভিত্তি করে লকডাউন কতটা শিথিল করা হবে, তা নির্ধারণ করা হবে৷ তবে সবকটি জোনেই চলবে কৃষিকাজ৷ কৃষকদের ঘরের দোরগোড়া থেকে ফসল সংগ্রহ করে আনা হবে৷ রাজ্যে শস্য পরিবহন চলবে অবাধেই৷ রবিবার কেন্দ্রের তরফে হরিয়ানা সরকারকে বলা হয়েছে, সব ধরণের পণ্য পরিবহন করা যাবে৷ সেই সঙ্গে কোল্ড স্টোরেজ এবং গুগদামঘরগুলিতেও সব ধরনের পণ্য রাখা যাবে৷ তবে দিল্লি, মুম্বই, পুণে, ইন্দোর, গুরগাঁও, ভোপাল, হায়দরাবাদ, আহমেদাবাদ, জয়পুর এবং বেঙ্গালুরুর মতো শহরগুলি, যেখানে করোনা সংক্রমণের পরিমাণ অত্যন্ত বেশি, সেই সকল শহরগুলিতে থাকবে না বিশেষ ছাড়৷  

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *