Aajbikel

দিল্লির রাজপথ ভাসল যমুনার জলে, প্লাবিত মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির এলাকা, শাহকে চিঠি কেজরিওয়ালের

 | 
কেজরিওয়াল বন্যা

নয়াদিল্লি: জি ২০ সম্মেলনে আর মাত্র কয়েক সপ্তাহ বাকি৷ তার আগে বানভাসি রাজধানী দিল্লি৷ ৪৫ বছরের রেকর্ড ভেঙে ফুসছে যমুনা৷ বাড়ছে নদীর জলস্তর। বুধবার নদীর জলস্তর বেড়ে হয় ২০৭.৫৫ মিটার হয়ে যায়। যা ১৯৭৮ সালের বন্যায় জলস্তরের রেকর্ডকে ভেঙে দিয়েছে। ইতিমধ্যে রাজধানীর বহু এলাকা প্লাবিত৷ রাজধানীর রাজপথ যেন কোনও নদী। এমনকী মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালের বাড়ির কাছের নিকটবর্তী এলাকাও বন্যার জলে প্লাবিত। হরিয়ানার হাথনিকুণ্ড বাঁধ থেকে জল ছাড়ায় যমুনার জলস্তর বিপদসীমা থেকে তিন মিটার বৃদ্ধি পেয়েছে। মঞ্জু কা টিলার সঙ্গে সংযুক্ত কাশ্মীরি গেট আইএসবিটির গেট বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। বর্তমান পরিস্থিতি বিবেচনা করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে চিঠি পাঠিয়েছেন কেজরিওয়াল৷ ‘হাতে হাত মিলিয়ে কাজ’ করার বার্তা দিয়েছেন তিনি। 

রিং রোড এলাকার কিছু অংশ বন্যার জলে প্লাবিত। মুখ্যমন্ত্রী কেজরিওয়ালের আবাসস্থল থেকে এই এলাকা আনুমানিক ৫০০ মিটার দূরে অবস্থিত বলে সংবাদ মাধ্যম সূত্রে খবর। আগাম সতর্কতামূলক পদক্ষেপ হিসাবে বন্যাপ্রবণ এলাকাগুলিতে ১৪৪ ধারা জারি করেছে দিল্লি পুলিশ। বৃহস্পতিবার সকালে যমুনার জলস্তরের মাত্রা আরও বৃদ্ধি পেয়েছে। বৃহস্পতিবার সকাল ৭টা পর্যন্ত যমুনার জলস্তর ছিল ২০৮.৪১ মিটার। 

গত কয়েক দিন ধরেই লাগাতার বৃষ্টি হচ্ছে উত্তর ভারতে। রাজধানী দিল্লির পাশাপাশি উত্তরাখণ্ড, হিমাচল প্রদেশ, হরিয়ানা, রাজস্থান, পাঞ্জাব, জম্মু ও কাশ্মীরের মতো রাজ্যগুলি বন্যায় বিপর্যন্ত। হিমাচল প্রদেশের অবস্থা সবচেয়ে খারাপ। গত কয়েক দিনের বৃষ্টিতে সে রাজ্যে মৃত্যু হয়েছে ৮৮ জনের। আট জন নিখোঁজ। আহতের সংখ্যা ৯২৷  সব মিলিয়ে গোটা উত্তর ভারতে বৃষ্টিতে মৃতের সংখ্যা প্রায় ১০০ জনের। উত্তর ভারতে গত কয়েক দিন ধরে টানা বৃষ্টির জেরে পাহাড়ি এলাকা থেকে জল নামতে শুরু করেছে৷ বাড়ছে জলস্তর৷ তার জেরেই দিল্লি এবং তার সংলগ্ন এলাকাগুলিতে বন্যার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। নিচু এলাকায় বসবাসকারী বাসিন্দাদের মঙ্গলবার থেকেই উঁচু এলাকায় সরিয়ে নেওয়ার কাজ শুরু করে দিয়েছে বিপর্যয় মোকাবিলা দফর। ৪৫টি নৌকাও প্রস্তুত রাখা হয়েছে।

Around The Web

Trending News

You May like