শিমলা: বিগত কয়েক দিন ধরে লাগাতার বন্যা এবং ধসের পরিস্থিতির কারণে কার্যত স্তব্ধ উত্তর-ভারতের কিছু রাজ্য। সবথেকে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হিমাচল প্রদেশ, অন্যটি উত্তরাখণ্ড। আপাতত দুর্ভোগ তো কমছেই না, উলটে আগামী কয়েক দিনে আরও বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে আইএমডি। ইতিমধ্যেই আবার কমলা সতর্কতা জারি হয়েছে উত্তরাখণ্ডে। দুই রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে আটকে পড়েছেন বহু সংখ্যক পর্যটক, হাজার হাজার পুণ্যার্থী। শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী, এখনও পর্যন্ত উত্তর-পশ্চিম ভারতে মৃত্যু হয়েছে ১৪৫ জনের। রাজধানী দিল্লির অবস্থাও খুব একটা ভালো নয়।
পরিসংখ্যান বলছে, এই অবস্থার মধ্যে সব থেকে বেশি মৃত্যু হয়েছে হিমাচল প্রদেশে, ৯১। উত্তরাখণ্ডে মারা গিয়েছেন ১৬ জন। এই মুহূর্তে আগামী ১৭ জুলাই পর্যন্ত ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে হাওয়া অফিস। তাই দুর্যোগ যে আরও বাড়তে চলেছে তাতে কোনও সন্দেহ নেই। গত ৮ জুলাই থেকে টানা বৃষ্টি শুরু হয়েছে উত্তর-ভারতে। যদিও বৃষ্টির তীব্রতা আগের থেকে কমেছে। তবে এখনও থামেনি। টানা বেশ কিছুদিন ধরে লাগাতার উদ্ধারকাও চলছে রাজ্যগুলিতে। হিমাচলে শেষ ৪৮ ঘণ্টায় ৫০ হাজারেরও বেশি পর্যটককে উদ্ধার করা হয়েছে।
তবে পাহাড়ি এলাকায় এত পরিমাণ বৃষ্টির কারণে আরও বেশি করে ধসের সম্ভাবনা বাড়ছে। শেষ কয়েক দিনে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা বন্ধ হয়ে গিয়েছে ধসের জন্য। এমন বৃষ্টি চলতে থাকলে ধস যে আরও বেশি হবে তা সকলের জানা। এরই মধ্যে আবার বঙ্গোপসাগরের ওপর ঘূর্ণাবর্ত তৈরি হতে পারে বলেও আভাস মিলেছে।