flood situation
গ্যাংটক: মেঘভাঙা বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত সিকিমের বহু অংশ। সোশ্যাল মিডিয়ায় যে যে ছবি ধরা পড়ছে তা ভয় ধরাচ্ছে। এক কথায়, সাধারণ জনজীবন এক পলকে যেন নষ্ট হয়ে গিয়েছে। বুধবার সকালে তিস্তা নদীতে হড়পা বান আসে। তার ফলে একে একে গাড়ি ভেসে গিয়েছে। ১০ নম্বর জাতীয় সড়কে ভেঙে যাওয়ায় কার্যত বাংলা এবং গোটা দেশ থেকে আলাদা হয়ে গিয়েছে এই ছোট্ট রাজ্যটি। জানা গিয়েছে, ২৩ জন সেনা নিখোঁজ, কাদায় ডুবে গিয়েছে অন্তত ৪১টি সেনার গাড়ি।
বুধবার প্রবল বৃষ্টিতে হ্রদ ফেটে কয়েক ঘণ্টায় ভয়াবহ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে সিকিমে। বর্তমানে তিস্তা এখন প্রবল গর্জনে ফুঁসছে। তবে শুধু সেনা জওয়ানরা নিখোঁজ নন, বহু সিকিমের স্থানীয় বাসিন্দাদের খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। কিন্তু ঠিক কী কারণে এই বিপর্যয় ঘটল? জানা গিয়েছে, প্রবল বৃষ্টি তো বটেই এর পাশাপাশি জলের চাপ সামলাতে দিয়ে অতিরিক্ত জল ছাড়তে হয় চুংথামের কাছে তিস্তার বাঁধ থেকে। সেই ছেড়ে দেওয়া জলের তোড়েই ভেসে যায় উত্তর সিকিম। সেনা সূত্রে খবর, ১৫ থেকে ২০ ফুট উচ্চতায় জলের স্রোত নামে তিস্তায়। এক ধাক্কায় জলস্রোত বেড়ে যাওয়ায় পরপর ভেসে গিয়েছে বাড়ি, গাড়ি।
অন্যদিকে সিকিম থেকে তিস্তা সমতলে প্রবেশ করেছে জলপাইগুড়ি জেলায়। ফলে প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে বহু মানুষের। এমনিতেই বাংলার সাত জেলায় বন্যার আশঙ্কা করা হয়েছে ডিভিসি ২ লক্ষ কিউসেকের বেশি জল ছেড়ে দেওয়ায়। তারওপর এই অবস্থায় সিকিমে বিপর্যয়। যে ভাবে জলস্তর বাড়ছে তাতে চিন্তা বাড়ছে বাংলার প্রশাসনের৷ উদ্বেগে খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ এই পরিস্থিতিতে মুখ্যসচিবকে বিশেষ নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। সেই নির্দেশ পেয়েই উত্তরবঙ্গের দিকে রওনা হয়েছেন মন্ত্রিসভার প্রবীণ সদস্য এবং আইএএস আধিকারিকরা।