শিমলা: ভারী বর্ষণের জেরে লাগাতার ভূমিধস, বিগত কয়েক দিন কার্যত বিধ্বস্ত হিমাচল প্রদেশ। শেষ কয়েক ঘণ্টা যেন আরও বিভীষিকা বয়ে নিয়ে এসেছে রাজ্যবাসীর জন্য কারণ গত ৪৮ ঘণ্টাতেই ২১ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী সুখবিন্দর সিংহ সুখু জানিয়েছেন, মেঘভাঙা বৃষ্টি এবং ধসের কারণে এই মৃত্যু হয়েছে। রাজ্যের একাধিক জেলা থেকেই মৃত্যুর খবর আসছে যা আরও আশঙ্কা বাড়াচ্ছে। একই সঙ্গে এও জানা গিয়েছে, এখনও বহু মানুষ ধ্বংসস্তূপের নীচে চাপা পড়ে আছে তাই মৃত্যুর সংখ্যা যে বাড়বে তা বলাই যায়।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, রবিবার রাতে সোলান জেলায় মেঘভাঙা বৃষ্টিতে সাত জনের মৃত্যু হয়েছে। অন্যদিকে সোমবার সকালে শিমলার সামার হিলের শিব মন্দিরে যাওয়া ৫০ জন পুণ্যার্থী মন্দিরের দেওয়ালের একাংশ ভেঙে ধসের নীচে চাপা পড়ে যান। এখনও পর্যন্ত ৯টি দেহ উদ্ধার করা গিয়েছে। তবে আরও অনেকে ধ্বংসস্তূপের নীচে চাপা পড়ে রয়েছেন বলে আশঙ্কা প্রশাসনের। উদ্ধারকাজ জারি আছে ঠিকই কিন্তু আবহাওয়া প্রতিকূল থাকায় উদ্ধারকাজে স্বাভাবিকভাবেই দেরী হচ্ছে। আশঙ্কা, ভেঙে পড়া কংক্রিটের চাঁইয়ের নীচে এখনও চাপা রয়েছেন ১৫-২০ জন পুণ্যার্থী।
হিমাচলের চাম্বা, কাংড়া, হমিরপুর, মান্ডি, বিলাসপুর, সোলান, শিমলার বিচ্ছিন্ন জায়গায় এখনও লাগাতার বৃষ্টি হচ্ছে। বৃষ্টি এবং ভূমিধসের কারণে সে রাজ্যে এখনও পর্যন্ত ৭৫২টি রাস্তা বন্ধ হয়ে গিয়েছে। হিমাচল প্রদেশের পাশাপাশি উত্তরাখণ্ডেও ব্যাপক ‘তাণ্ডব’ চলছে বন্যা এবং ভূমিধসের।