উৎসবের আবহে রেকর্ড ব্যবসা ফ্লিপকার্টের, ঋণ নিয়ে কেনাকাটার হিড়িক

নয়াদিল্লি: দেশজুড়ে চলছে উৎসব৷ বাংলা মেতেছে শারদ আনন্দে৷ আর গোটা দেশজুড়ে চলতে থাকা উৎসবের আবহে গত এক সপ্তাহে রেকর্ড পরিমাণ ব্যবসা করল ভারতের বৃহত্তম সমস্যা ফ্লিপকার্ট৷ সংস্থার তরফ তাক লাগানো পরিসংখ্যান প্রকাশ করা হয়েছে৷ জানানো হয়েছে, গত ছয় দিনে কমপক্ষে ফ্লিপকার্টে ৭০ বিলিয়ন মানুষ তাদের ওয়েবসাইটে ঢুকেছেন৷ তারমধ্যে প্রায় ৫০ শতাংশ গ্রাহক ফ্লিপকার্ট থেকে কেনাকাটা

7a28006510e10e4b08312412dbd94660

উৎসবের আবহে রেকর্ড ব্যবসা ফ্লিপকার্টের, ঋণ নিয়ে কেনাকাটার হিড়িক

নয়াদিল্লি: দেশজুড়ে চলছে উৎসব৷ বাংলা মেতেছে শারদ আনন্দে৷ আর গোটা দেশজুড়ে চলতে থাকা উৎসবের আবহে গত এক সপ্তাহে রেকর্ড পরিমাণ ব্যবসা করল ভারতের বৃহত্তম সমস্যা ফ্লিপকার্ট৷ সংস্থার তরফ তাক লাগানো পরিসংখ্যান প্রকাশ করা হয়েছে৷

জানানো হয়েছে, গত ছয় দিনে কমপক্ষে ফ্লিপকার্টে ৭০ বিলিয়ন মানুষ তাদের ওয়েবসাইটে ঢুকেছেন৷ তারমধ্যে প্রায় ৫০ শতাংশ গ্রাহক ফ্লিপকার্ট থেকে কেনাকাটা করেছেন৷ গত বছরের তুলনায় এ বছরে ফ্লিপকার্টের ব্যবসা প্রায় ৭০ শতাংশের কাছাকাছি৷ শহর অঞ্চলের তুলনায় মফস্বলে প্রায় ৬৮ শতাংশ ব্যবসা বেড়েছে বলেও জানানো হয়েছে৷ গোটা দেশজুড়ে প্রায় ৪৫ শতাংশ মহিলা ফ্লিপকার্ট থেকে কেনাকাটা করেছেন বলে সংস্থার দাবি৷ গত ছয় দিনে ২০টি জাতের পণ্য বিক্রি হয়েছে৷ প্রায় ১০ লক্ষ সামগ্রী অনলাইনে বিক্রি হয়েছে গত এক সপ্তাহে৷ ফ্লিপকার্টের পোশাক কেনাকাটা ১০০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে বলেও জানানো হয়েছে৷

মোবাইল বিক্রিও বেড়েছে৷ ইলেকট্রনিক্স দ্রব্য বিক্রি বেড়েছে প্রায় ৫০ শতাংশ৷ ৩৪ শতাংশ নতুন গ্রাহক ফ্লিপকার্ট থেকে বৈদ্যুতিক সামগ্রী কিনেছেন বলে দাবি করা হচ্ছে৷ প্রায় ৭০ শতাংশ গ্রাহক সংস্থার থেকে ঋণ নিয়ে জিনিসপত্র কিনেছেন বলেও রিপোর্ট প্রকাশ করা হয়েছে৷

কিন্তু কেন এই বিক্রির রমরমা? সংস্থার দাবি উৎসব উপলক্ষে বড় ছাড় দেওয়ার জেরে এই অভূতপূর্ব সাফল্য মিলেছে৷ উৎসব মরশুমে প্রায় ৫০ থেকে ৯০ শতাংশ পর্যন্ত ছাড় দেওয়ার ঘোষণা আগেই করেছিল ফ্লিপকার্ট৷ আর সেই সুবাদে উৎসবের মরসুমে জনতার কেনাকাটার ধুম লেগেছে বলে মনে করছেন পর্যবেক্ষক মহলের একাংশ৷ তবে নগদের পরিবর্তে ধার নিয়ে জিনিসপত্র কেনাকাটার প্রবণতা বৃদ্ধি পাওয়ায় সিঁদুরে মেঘ দেখতে শুরু করেছেন পর্যবেক্ষক মহলের একাংশ৷ তাঁদের অনেকের ধারণা, জনতার হাতে পর্যাপ্ত টাকা না থাকার সুবাদে খুব সম্ভবত তাঁরা উৎসবের মরসুমে ধার নিয়ে জিনিসপত্র কিনতে কার্যত বাধ্য হয়েছেন৷ আর এই ঘটনা দেশের অর্থনীতির প্রতিচ্ছবি উঠে এসেছে বলেও মনে করছেন পর্যবেক্ষক মহলের একাংশ৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *