ইন্দোর: ঘুষ না দিলে রাস্তায় ব্যবসা করা যাবে না৷ ১০০ টাকা ঘুষ দিতেই হবে তাকে৷ কিন্তু সেই টাকা দিতে চায়নি ইন্দোরের ১৩ বছরের এক কিশোর ডিম বিক্রেতা৷ যার মাশুল গুণতে হয় তাকে৷ তার ডিম বোঝাই গাড়ি উল্টে দেয় পুরসভার কর্মীরা৷ এই ঘটনা সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হতেই তাঁর পাশে দাঁড়াল গোটা দেশ৷ সাধারণ মানুষ থেকে রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব, পরশের সাহায্যে এগিয়ে এলেন সকলেই৷
আরও পড়ুন- গরিব বিক্রেতার কলা ‘ছিনতাই’ পুলিশের, ভাইরাল তোলাবাজির ভিডিয়ো
প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় ইতিমধ্যেই একটি বাড়ি দেওয়া হয়েছে পরশ রায়করের পরিবারকে৷ পড়াশোনা নিয়েও দুশ্চিন্তা মিটেছে৷ পরশ ও তার ভাইবোনদের পড়াশোনার দায়িত্ব নেওয়া হয়েছে৷ কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী এবং দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালও তাঁদের সাহায্যের আশ্বাস দিয়েছন বলে জানিয়েছে পরশের পরিবার৷
আরও পড়ুন- জরিমানা এড়াতে স্ত্রীর সায়া মুখে জড়ালেন ব্যক্তি, দেখে লুটোপুটি পুলিশের
পেটের দায়েই পড়াশোনা ছেড়ে ডিম বিক্রি করা শুরু করেছিল ১৩ বছরের পরশ৷ প্রতিদিনের মতোই গত বৃহস্পতিবারও ঠেলাগাড়ি নিয়ে ইন্দোরের রাস্তায় ডিম বিক্রি করতে গিয়েছিল সে৷ অভিযোগ, সেখানে পুরসভার কয়েকজন কর্মী এসে তাকে গাড়ি সরিয়ে নিতে বলেন৷ পরশের অভিযোগ, তার কাছে পুরসভার কর্মীরা ১০০ টাকা ঘুষ চেয়েছিল৷ সেই টাকা দিতে না চাওয়ায় তার ঠেলাগাড়ি উল্টে দেওয়া হয়৷ রাস্তায় পড়ে সব ডিম নষ্ট হয়ে যায়৷ এই ঘটনার ভিডিয়ো সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হতেই এই নির্মম আচরণের জন্য প্রবল সমালোচনার মুখে পড়েন পুর কর্মীরা৷
আরও পড়ুন- উচ্চতা মাত্র ৩ ফুট, বহু যন্ত্রণা সহ্য করে আজ IAS আরতি
পরশের কথামতো, প্রায় সাত থেকে আট হাজার টাকার ডিম নষ্ট হয়ে গিয়েছে৷ সে জানায়, লকডাউনের জেরে এমনিতেই বিক্রিবাটা অনেকটা কমে গিয়েছে৷ এর উপর এত টাকার ক্ষতি তার পরিবারের উপর বাড়তি বোঝা হয়ে দাঁড়াবে৷ যদিও এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই পরশ এবং তার পরিবারের জন্য সাহায্যের প্রতিশ্রুতি এসেছে বিভিন্ন মহল থেকে৷
আরও পড়ুন- করোনা রোগীকে ৬ কিমি নিয়ে যেতে ৯ হাজার টাকা ভাড়া হাঁকল অ্যাম্বুল্যান্স!
ইন্দোরের বিজেপি বিধায়ক রমেশ মেন্ডোলা পরশের পরিবারকে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় একটি বাড়ি দিয়েছেন৷ এছাড়াও পরশকে একটি সাইকেল এবং আড়াই হাজার টাকাও দিয়েছেন তিনি৷ রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ও কংগ্রেস নেতা দিগ্বিজয় সিং ১০ হাজার টাকা দেওয়ার পাশাপাশি পরশ এবং তার ভাইয়ের পড়াশোনার যাবতীয় দায়িত্ব নেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন৷ সাহায্য করতে চেয়ে ফোন করেছেন জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়াও৷