মুম্বই: করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে দেশের মধ্যে সবচেয়ে সংকটজনক অবস্থায় রয়েছে মহারাষ্ট্র। সংক্রমণ এবং মৃত্যুর হার তো বাড়ছেই, একই সঙ্গে বাড়ছে অক্সিজেনের আকাল। এই প্রেক্ষিতে কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে অক্সিজেন প্রসঙ্গে একাধিকবার আবেদন করেছিল মহারাষ্ট্র সরকার। অবশেষে অপেক্ষার অবসান ঘটল। অক্সিজেন পৌঁছে দেওয়ার জন্য ভারতীয় রেল যে উদ্যোগ নিয়েছিল সেই প্রেক্ষিতে মহারাষ্ট্রে পৌঁছলো প্রথম ‘অক্সিজেন এক্সপ্রেস’।
জানা গিয়েছে, ৭ টি অক্সিজেন ট্যাঙ্কার নিয়ে প্রথম অক্সিজেন এক্সপ্রেস যে যাত্রা শুরু করেছিল সেটি পৌঁছেছে মহারাষ্ট্রে। গতকাল সন্ধে বেলা তা পৌঁছে নাগপুরে। ৭ টির মধ্যে ৩ টি ট্যাঙ্কার নামানো হয়েছে নাগপুরে এবং বাকি ট্যাঙ্কার গুলি নিয়ে যাওয়া হয়েছে নাসিক হয়ে মুম্বইয়ে। প্রতিটি ট্যাঙ্কারে রয়েছে ১৫ টন তরল মেডিক্যাল অক্সিজেন। বৃহস্পতিবার বিশাখাপত্তনমের রাষ্ট্রীয় ইস্পাত নিগম লিমিটেডের উৎপাদনকেন্দ্রে অক্সিজেন ভরা হয় ট্যাঙ্কারগুলিতে। তারপর সেগুলি রওনা দেয় মহারাষ্ট্রের উদ্দেশে। বৃহস্পতিবারই রেল জানিয়েছিল, ওয়ালটেয়ার ডিভিশন অব ইস্ট কোস্ট রেলওয়েজ ও আরআইএনএলের যৌথ উদ্যোগে এই সাফল্য মিলেছে। প্রসঙ্গত, দেশের বিভিন্ন প্রান্তের স্টিল কারখানা থেকে অক্সিজেন সংগ্রহ করে নির্দিষ্ট গন্তব্যে পৌঁছবে ‘অক্সিজেন এক্সপ্রেস’। সাম্প্রতিক পরিস্থিতিতে এই উদ্যোগ নিয়েছে ভারতীয় রেল।
এদিকে আবার জানা গিয়েছে যে, লের প্রায় ১২ লক্ষ কর্মচারীর মধ্যে ইতিমধ্যেই করোনো ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৯৩,০০০-এর বেশি কর্মী। উল্লেখযোগ্য ব্যাপার, এদের মধ্যে অধিকাংশ রেলকর্মী সরাসরি যাত্রীদের সংস্পর্শে আসেন। তাই এই মুহূর্তে রেল পরিষেবা চালু রাখা কার্যত চ্যালেঞ্জ কর্তৃপক্ষের কাছে। কারণ এই অবস্থার মধ্যেও রেল চালু রাখলে দেশের সংক্রমণ আরো বহুগুণ বেড়ে যাবে বলে আশঙ্কা। আক্রান্ত রেল কর্মীদের মধ্যে রয়েছেন ট্রেনের চালক থেকে শুরু করে গার্ড, স্টেশন মাস্টার থেকে শুরু করে ঠিকা কর্মী। রেলের তরফ থেকে ইতি মধ্যেই করোনাভাইরাস চিকিৎসার জন্য ৭২ টি রেলের হাসপাতাল চিহ্নিত করা হয়েছে এবং ৫০০০-এরও বেশি বেড বরাদ্দ করা হয়েছে।