নয়াদিল্লি: প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় চরম উত্তেজনার মাঝেই শক্তি বাড়াচ্ছে ভারত৷ বায়ুসেনাকে আরও শক্তিশালী করতে আজই ফ্রান্স থেকে ভারতে রওনা দিয়েছে অত্যাধুনিক যুদ্ধবিমান রাফাল৷ সোমবার ভারতের উদ্দেশে রওনা দিয়েছে পাঁচটি রাফাল জেট৷ বুধবার ২৯ জুলাই আম্বালা বায়ুসেনা ঘাঁটিতে অবতরণ করবে এই যুদ্ধবিমানগুলি৷
আরও পড়ুন- আরও ৪৭টি চিনা অ্যাপ নিষিদ্ধ ঘোষণা কেন্দ্রের, নজরে ২৫০টি সংস্থা
রাফাল যুদ্ধবিমানটি তৈরি করেছে ফরাসি এভিয়েশন সংস্থা ডাসল্ট৷ সোমবার ফ্রান্সের মেরিগনাক এয়ারবেস থেকে রওনা দেয় পাঁচটি রাফাল জেট৷ মোট ৩৬টি রাফাল যুদ্ধবিমানের বরাত দিয়েছে ভারত৷ তার মধ্যে প্রথম দফায় পাঁচটি রাফাল আসতে চলেছে বায়ুসেনার হাতে৷ ২০১৬ সালে এর জন্য ৫৯ হাজার কোটি টাকার চুক্তি হয়েছিল ফ্রান্সের সঙ্গে৷ ফ্রান্স থেকে প্রায় ৭ হাজার কিলোমিটার পাড়ি দিয়ে ভারতে আসছে এই যুদ্ধ বিমান৷
আরও পড়ুন- ঘুষ না পেয়ে ঠেলা গাড়ি উল্টেছিল পুরকর্মীরা, কিশোর ডিম বিক্রেতাকে বাড়ি, পড়াশোনার আশ্বাস
জানা গিয়েছে, যাত্রা শুরুর পর প্রায় ১০ ঘণ্টা উড়ান দিয়ে রাফাল জেটগুলি অবতরণ করবে সংযুক্ত আরব আমিরশাহীতে। সেখান থেকে আবার পরের দিন হরিয়ানার আম্বালার উদ্দেশে রওনা দেবে এগুলি৷ ভারতে এসে পৌঁছনোর ৭ দিনের মধ্যেই দিল্লি রাফাল যুদ্ধবিমানকে লাদাখ সীমান্তে মোতায়েন করতে চলেছে বলেও সূত্রের খবর৷ যুদ্ধকালীন তৎপরতায় লাদাখে মোতায়েন করা হবে রাফাল জেট৷ ইতিমধ্যেই ১২ জন পাইলট এবং ইঞ্জিনিয়র ক্রিউকে রাফালের জন্য সম্পূর্ণ প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে৷ ভারতীয় বায়ুসেনার ১৭ তম স্কোয়াড্রনের 'গোল্ডেন অ্যারোস' -এর অংশ হবে এই ফাইটার জেট।
আরও পড়ুন- গরিব বিক্রেতার কলা ‘ছিনতাই’ পুলিশের, ভাইরাল তোলাবাজির ভিডিয়ো
এদিন রাফাল যুদ্ধবিমানগুলি উড়ান দেওয়ার আগে ভারতীয় বায়ুসেনার পাইলটদের সঙ্গে কথা বলেন ফ্রান্সে নিযুক্ত ভারতের রাষ্ট্রদূত৷ এই বিমান বায়ু থেকে বায়ু মেটেরো মিসাইল এবং স্ক্যাল্প ক্রুজ মিসাইল বহনে সক্ষম৷ বায়ুসেনা সূত্রে খবর, এই রাফাল যুদ্ধবিমানের সঙ্গেই যুক্ত করা হবে ঘাতক হ্যামার মিসাইল৷ ফলে স্বাভাবিকভাবেই ঘুম ছুটবে চিনের৷
আরও পড়ুন- জরিমানার ভয়ে স্ত্রীর সায়া মুখে জড়ালেন ব্যক্তি, দেখে লুটোপুটি পুলিশের
রাফাল যুদ্ধবিমানটি বায়ু থেকে বায়ুতে ১৫০ কিলোমিটার দূরত্ব পর্যন্ত মিসাইল ছুঁড়তে সক্ষম। ফলে শত্রু দেশের সীমানায় না ঢুকেও তাদের বিমান ধ্বংস করতে পারবে এটি। চিন বা পাকিস্তানের কাছে এই ধরনের অত্যাধুনিক যুদ্ধবিমান নেই। ফলে যুদ্ধ পরিস্থিতি তৈরি হলে অনেকটাই এগিয়ে থাকবে ভারত৷