পঞ্জাব: ‘ম্যায়নে পেয়ার কিয়া’ সিনেমাটির কথা মনে আছে নিশ্চয়৷ একটি পায়রার মাধ্যমে প্রেমিক যুগল কীভাবে দিনের পর দিন নিজেদের চিঠিপত্র আদানপ্রদান করেছেন৷ শুধু সিনেমাতেই নয়, বাস্তবেও পায়রারা এই কাজ করে থাকে৷ একটা সময় তো পাখিরাই বার্তাবাহক হিসেবে কাজ করত৷ তারা যেহেতু আকাশে উড়তে পারে, আর তাদের দেখে কারও সন্দেহ হওয়ার কথা নয়৷ তাই তাদের একসময় পোস্টম্যান হিসেবে ব্যবহার করা হত৷ এখনও সেই ট্র্যাডিশন চলছে৷
কারণ এবার একটি পায়রাকে দেখে সন্দেহ হওয়ায় তার বিরুদ্ধে পুলিশে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। ওই সন্দেহভাজন পায়রাটিকে পঞ্জাবের কাছে ভারত-পাকিস্তান আন্তর্জাতিক সীমান্তের কাছে একটি সাদা কাগজ নিয়ে উড়তে দেখা যায়। পাখিটি রোরানওয়ালার কাছে বিওপিতে এক কনস্টেবলের কাছে উড়ে এসেছিল। সন্দেহের বিষয় ছিল, পাখিটির পায়ে একটি সাদা কাগজ লাগানো ছিল৷ আর তাই তার বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করা হয়েছে।
গত ১৭ এপ্রিল সাদা-কালো রঙের ওই পায়রাটিকে ধরা হয়। যে কনস্টেবলের কাঁধে পায়রাটি এসে বসেছিল, তাঁর নাম নীরজ কুমার। ওই সময় ক্যাম্পে দায়িত্বে ছিলেন তিনি। পাকিস্তান সীমান্ত থেকে এই এলাকার দূরত্ব মাত্র ৫০০ মিটার। অভিযোগ, কনস্টেবল নীরজ কুমার সঙ্গে সঙ্গেই পায়রাটিকে ধরে ফেলেন। সেখান থেকেই পোস্ট কমান্ডার ওমপাল সিংকে খবর দেন তিনি। ওমপাল সিং এসে পায়রাটিকে স্ক্যান করে পরীক্ষা করেন। লিউকোপ্লাস্টের মতো আঠা দিয়ে পায়রার পায়ে একটি সাদা কাগজ আটকানো ছিল। তাতে কিছু সংখ্যা লেখা ছিল। অমৃতসরের কাহাগড় পুলিশ স্টেশনে ওই পায়রার বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, দিন কয়েক আগেই জম্মু-কাশ্মীরের কাঠুয়া জেলায় এই ধরনের আর একটি ঘটনা ঘটেছিল। গত বছরের মে মাসে ওই এলাকায় একটি সন্দেহভাজন পায়রাকে পাওয়া গিয়েছিল। পাকিস্তানের সীমান্তের ওপার থেকেই সেটি উড়ে এসেছিল। আধিকারিকরা সেই সময় জানিয়েছিলেন, পায়রার পায়ে সন্দেহভাজন কাগজ লাগানো ছিল এবং তাতে কিছু কোড লেখা ছিল। হীরানগর সেক্টরের মন্যরি গ্রামের এক বাসিন্দা ওই পায়রাটিকে ধরেছিলেন৷