কেন্দ্রের অনুমোদন পায়নি কোরোনিল, FIR বাবা রামদেবের বিরুদ্ধে

কেন্দ্রের অনুমোদন পায়নি কোরোনিল, FIR বাবা রামদেবের বিরুদ্ধে

নয়াদিল্লি: কোভিড-১৯ ভাইরাসের ওষুধ বা প্রতিষেধক তৈরি করতে নিরন্তর গবেষণা চালিয়ে যাচ্ছেন দেশ-বিদেশের চিকিৎসা বিজ্ঞানীরা। কিছু কিছু ক্ষেত্রে আশার আলো দেখা গেলেও, ১০০ শতাংশ কার্যকরী কোনও ওষুধ এখনও আবিষ্কার করা যায়নি। এদিকে পতঞ্জলি সংস্থার কর্ণধার বাবা রামদেব এবং আরও কয়েকজনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে রাজস্থানের এক থানায়। রামদেব আয়ুশ মন্ত্রকের অনুমোদন ছাড়াই করোনার ওষুধ বিক্রি করছেন বলে অভিযোগ। যোগগুরুর দাবি, তাঁদের সংস্থার ওষুধ ‘কোরোনিল’-এ নির্মূল হয় কোভিড-১৯। করোনা আক্রান্ত কিছু ব্যক্তির ওপর প্রয়োগ করে সফল হয়েছেন তাঁরা, দাবি এমনটাও। রাজস্থানের জ্যোতিনগর থানায় বলবীর জাখার নামে এক আইনজীবী এবং আরও কিছু ব্যক্তি বাবা রামদেব এবং আরও চার ব্যক্তির বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করেছেন।

এফআইআরে অভিযোগ করা হয়েছে, এই কোরোনিল ওষুধটি বিক্রি করার জন্য আয়ুশ মন্ত্রকের কোনও রকম অনুমোদন নেয়নি যোগগুরুর সংস্থা। সরকারি কোনও প্রতিষ্ঠানে ড্রাগটি পরীক্ষা করার জন্য পাঠানোও হয়নি। পাঠানো হয়েছিল ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব মেডিক্যাল সায়েন্সেস অ্যান্ড রিসার্চ (এনআইএমএস) নামক জয়পুর-স্থিত এক বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে। শনিবার ভারতীয় দণ্ডবিধির ৪২০ ধারা এবং ম্যাজিক সমাধান ও আপত্তিকর বিজ্ঞাপন সংক্রান্ত ১৯৫৪ সালের আইনের ৬ এবং ৭ ধারায় রামদেব এবং পতঞ্জলি সংস্থার দুই কর্মীর বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করা হয়েছে। অভিযোগ করা হয়েছে এনআইএমএস সংস্থার দুই উচ্চপদস্থ কর্তার বিরুদ্ধেও।

অভিযোগ দায়ের করা আইনজীবী বলবীর জাখার জানিয়েছেন, রাজস্থান রাজ্য সরকার অথবা কেন্দ্র, কোনও জায়গা থেকেই এই ওষুধ বিক্রির বিষয়ে অনুমোদন নেওয়া হয়নি। এর ফলে সাধারণ মানুষের জীবনের ঝুঁকির মধ্যে পড়ছে। যদিও পতঞ্জলির তরফে দাবি করা হয়েছিল, সবরকম আইনি কাজকর্ম মিটিয়ে নেওয়া হয়েছে আগেই। এবার, আয়ুশ মন্ত্রক থেকে পদক্ষেপ নিয়ে পতঞ্জলি সংস্থাকে কোরোনিল ওষুধের বিজ্ঞাপনে করোনা নির্মূল প্রসঙ্গ তুলে দিতে নির্দেশ দিল। ড্রাগটির বিশদ তথ্য চেয়ে পাঠানো হয়েছে। তবে এখনও পর্যন্ত কাউকেই গ্রেফতার করা হয়নি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

fourteen − 5 =