গুয়াহাটি: অসম এবং মিজোরাম রাজ্যের সীমানার সংঘর্ষ নিয়ে উত্তাপ আরও বাড়ছে। এবার অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মার বিরুদ্ধে খুনের চেষ্টা এবং ষড়যন্ত্রের অভিযোগ দায়ের করল মিজোরাম পুলিশ। তবে শুধু অসমের মুখ্যমন্ত্রী নন, সেই রাজ্যের ৪ জন শীর্ষ পুলিশ আধিকারিক সহ আরো ৪০০ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয়েছে। সকলের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করে দাবি করা হয়েছে, তারা জোর করে মিজোরামের পুলিশ ক্যাম্প দখল করতে চেয়েছিল।
মিজোরাম পুলিশের বক্তব্য, অসম পুলিশের নেতৃত্বে প্রায় ২০০ জনের একটি সশস্ত্র বাহিনী মিজোরাম পুলিশ কেন্দ্র দখল করতে চাইছিল। মিজোরাম পুলিশ সংখ্যায় কম থাকায় সেই দলের বিরুদ্ধে খুব একটা যুত করে উঠতে পারেনি। পরবর্তী ক্ষেত্রে দুই বাহিনীর মধ্যে উত্তপ্ত বাড়ে, তবে অসোম পুরিশ জানায় যে মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ মত তারা সেখানে পুলিশ ক্যাম্প করতে চায় কারণ ওই এলাকা অসমের মধ্যে পড়ে। সব মিলিয়ে দুই রাজ্যের পুলিশ বাহিনীর মধ্যে সংঘর্ষ তীব্র হয়। গত ২৬ জুলাই এই মামলা রুজু করা হয়েছে ভারতীয় দণ্ডবিধির একাধিক ধারা, অস্ত্র আইন এবং মিজোরাম কনটেনমেন্ট অ্যান্ড প্রিভেনশন অব কোভিড-১৯ অ্যাক্ট ২০২০-তে।
আরও পড়ুন- পর্ন-কাণ্ডে গ্রেফতার মডেল নন্দিতা ও সঙ্গী মৈনাককে পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ
সীমান্ত সংঘর্ষে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়ে ছিল দুই রাজ্যের বাসিন্দাদের মধ্যে। ইতিমধ্যেই অসম পুলিশ বাহিনীর সঙ্গে মিজোরামের বাসিন্দাদের সংঘর্ষের ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে। এমনকি দুই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী সেই ভিডিও টুইটারে পোস্ট করে প্রধানমন্ত্রী এবং স্বরাষ্ট্র মন্ত্রীর হস্তক্ষেপ চেয়েছেন। মিজোরামের মুখ্যমন্ত্রী জোরামথাঙ্গা টুইট করে লিখেছেন, মিজোরামের সাধারণ এক দম্পতি রাজ্যে ফেরার সময় হেনস্থার শিকার হয় গুন্ডাদের দ্বারা। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে ট্যাগ করে তিনি লিখেছেন দয়া করে যাতে এই ব্যাপারে তিনি নজর দেন। অন্যদিকে, অসমের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত বিশ্ব শর্মা জানিয়েছেন, মিজোরাম পুলিশ সুপার সীমানা ঘাঁটি থেকে সরে যেতে বলছেন। না সরলে হিংসাও থামবে না বলা হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে কী ভাবে সরকার চালানো যায়।