ওড়িশা: দেশে এখন আনলক চললেও করোনা সম্পূর্ণ আয়ত্তে আসেনি। এই সংক্রমণ ঠেকাতে সর্বত্র সোশ্যাল ডিস্ট্যান্সিং বা সামাজিক দূরত্ব এবং স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার কথা বলছে প্রশাসন। কিন্তু প্রশাসনের নির্দেশকে বুড়ো আঙ্গুল দেখিয়ে বিয়ের সহ অন্য অনেক অনুষ্ঠান করছে সাধারণ মানুষ। এমনই একটি ঘটনা ঘটেছে ওড়িশার গঞ্জাম জেলায়।
সামাজিক দূরত্ব না মেনে বিয়ের অনুষ্ঠান পরিচালনা করার জন্য বড় কনে দুই পরিবারকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করল পুলিশ। তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। সংবাদমাধ্যমকে এ খবর জানিয়েছেন গঞ্জাম জেলার জেলাশাসক বিজয় অমৃতা কুলঙ্গি। বিবাহের অনুষ্ঠানটি যেখানে হচ্ছিল সেই জায়গাটি সিজ করে দিয়েছে পুলিশ। গঞ্জাম জেলার পুলিশ সুপার ব্রিজেশ কুমার রায় জানিয়েছেন একটি হোটেলে বসেছিল সেই বিবাহের আসর। বর এবং কনে কোন পক্ষই সমাজের দূরত্ব নীতি মেনে চলেনি। এমনকি বর বা কনে, কোন পক্ষেরই কেউ মাস্ক ব্যবহার করেননি বলে অভিযোগ। করোনা পরিস্থিতিতে যেখানে মাস্ক ব্যবহার কেন্দ্রের তরফে বাধ্যতামূলক করা হয়েছে সেখানে মাস্ক ব্যবহার না করে সামাজিক দূরত্ব না মেনে তারা অপরাধ করেছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। আর সেই কারণেই তাদের জরিমানা করা হয়েছে এবং তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। ইতিমধ্যেই জরিমানার টাকা আদায় করা হয়ে গিয়েছে দুই পরিবারের কাছ থেকেই। তবে তাদের বিরুদ্ধে যে মামলা দায়ের হয়েছে তার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
করোনা পরিস্থিতিতে গঞ্জাম জেলার অবস্থা খুব একটা ভালো নয়। শনিবার ২১৬ জন করোনা রোগীর তথ্য নথিভুক্ত হয়েছে। ইতিমধ্যেই জেলায় করোনা রোগীর সংখ্যা ছাড়িয়েছে দুহাজার। ভুবনেশ্বর সহ ওড়িশার বাকি হাসপাতালগুলোর অবস্থা বেশ খারাপ। কোয়ারেন্টাইন সেন্টারের অবস্থা এখন খুব একটা ভালো না। বেশিরভাগ জায়গাতেই এখন করোনা রোগীর জন্য বেড অবশিষ্ট নেই। সেই কারণে করোনার উপসর্গ দেখা দিলেই তাদেরকে হোম আইসলেশনে থাকার নির্দেশ দিয়েছেন চিকিৎসকরা। এমন পরিস্থিতির মধ্যেও সামাজিক দূরত্ব না মানলে করোনা আরো ছড়িয়ে পড়বে বলে আশঙ্কা। আর তার যাতে না হয় সেই কারণে এমন পদক্ষেপ করা হয়েছে বলে জানিয়েছে ওড়িশা পুলিশ।