নয়াদিল্লি: চিন সেনাকে যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত থাকার বার্তা দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং৷ সীমান্তে বাড়ছে উত্তেজনা৷ এরই মধ্যে রাজস্থানের পোখরান থেকে সম্পূর্ণ দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি অ্যান্টি-ট্যাংক গাইডেড মিসাইল ‘নাগ’-এর সফল উৎক্ষেপণ করল ভারতের প্রতিরক্ষা গবেষণা ও উন্নয়ন সংস্থা (ডিআরডিও)৷ বৃহস্পতিবার সকাল ৬টা ৪৫ মিনিট নাগাদ পোখরানের ফিল্ড ফায়ারিং রেঞ্জে থেকে এই উৎক্ষেপণ করা হয়৷
আরও পড়ুন- উৎসবের মরশুমে ট্রেনের ভাড়া বৃদ্ধি? কী বলছে রেল
এদিন ডিআরডিও-র তরফে একটি বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘‘আজ সফল ভাবে ওয়ারহেড সহ ডিআরডিও-র তৈরি অ্যান্টি ট্যাঙ্ক গাইডেড মিসাইলের সফল উৎক্ষেপন করা হয়েছে৷ ভারতীয় সেনা বাহিনীর অংশ হওয়ার জন্য তৈরি এই মিসাইল৷’’ শত্রুপক্ষের ট্যাঙ্ক গুঁড়িয়ে দিতে এমনই এক মিসাইলের অপেক্ষায় ছিল ভারতীয় সেনা৷ নাগ মিসাইল ক্যারিয়ার (NAMICA) থেকে ছোড়া হবে ‘নাগ’৷ লক্ষ্যে নির্ভুল ভাবে আঘাত হানতে সক্ষম এই ক্ষেপণাস্ত্র৷ এটি বায়ু এবং ভূমি থেকে ছোড়া যায়৷ ৪ থেকে ৭ কিলোমিটার পর্যন্ত দূরত্বে নির্ভুলভাবে নিশানা করতে পড়ে নাগ। এটি থার্ড জেনারেশন অ্যান্টি ট্যাঙ্ক মিসাইল৷ এর আক্রমণ ক্ষমতাও মারাত্মক৷ দিন হোক বা রাত এর নজর থেকে রক্ষা পাবে না শত্রু ট্যাঙ্ক৷ অত্যাধুনিক ‘সিকার’ (এক ধরনের সেন্সর) থাকায় যে কোনও সময় প্রতিপক্ষের ট্যাংক ও দ্রুতগতিতে চলা সামরিক যান খুঁজে বার করতে সক্ষম এই ক্ষেপণাস্ত্র। নাগ মিসাইলের ইনফ্রারেড সেন্সরের শত্রু পক্ষের ট্যাংক খুঁজে বের করে সেটির উপর আছড়ে পড়ে৷
আরও পড়ুন- বন্যাবিধ্বস্ত তেলেঙ্গানার পাশে মমতা, ২ কোটি টাকা দান করলেন ত্রাণ তহবিলে
বর্তমানে ভারতীয় সেনার কাছে রয়েছে সেকেন্ড জেনারেশন-এর মিলান ২টি এবং কঙ্কুর এটিজিএমএস৷ থার্ড জেনারেশন মিসাইলের অপেক্ষায় ছিলেন তাঁরা৷ ২০১৮ সালে কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রক ভারতীয় সেনাবাহিনীর জন্য ৩০০টি নাগ ও ২৫টি NAMICA-র ছাড়পত্র দেয়৷ আত্মনির্ভর ভারত গড়ার ডাক দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী৷ এদিনন ডিআরডিও-র এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং৷ সীমান্তে শান্তির বার্তা দিলেও, যুদ্ধের প্রস্তুতিও সেরে রেখেছে ভারত৷ পরিস্থিতি বুঝে পদক্ষেপ করার ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে সেনাবাহিনীর হাতে৷ বিগত দু’মাসে ১০টিরও বেশি মিসাইল পরীক্ষা করে বেজিংকে বার্তা দিয়েছে নয়াদিল্লি।