গম সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা অপূর্ণ, বাড়ছে মূল্যবৃদ্ধির আশঙ্কা

নয়াদিল্লি: লক্ষ্য ছিল ৩৪ মিলিয়ন টন গম সংরক্ষণ। কিন্তু, হয়েছে ২৬ মিলিয়ন টন। গম সংগ্রহের যে লক্ষ্যমাত্রা স্থির করা হয়েছিল, সেখানে পৌঁছতে না পারায় আগামী দিনে দাম বাড়ার আশঙ্কা তুঙ্গে৷ গত এক বছরে ইতিমধ্যেই খুচরো বাজারে গমের দাম প্রায় ছয় শতাংশ বেড়ে গিয়েছে। নতুন করে দাম বাড়লে সমস্যায় পড়বে মধ্যবিত্ত মানুষ৷
এপ্রিলে কিছু জায়গায় বৃষ্টির জেরে গমের উৎপাদন মার খেয়েছে৷ ফলে সরকার যে ১১২ মিলিয়ন টনের রেকর্ড উৎপাদনের হিসেব কষেছিল, তা পূরণ নাও হতে পারে। গত বছর মার্চ মাসেও অত্যধিক গরম গম চাষের ওপর কুপ্রভাব পড়েছিল। এবার এপ্রিলে বৃষ্টি। জাতীয় খাদ্য সুরক্ষার অধীনে দেশের ৮১ কোটি মানুষের জন্য প্রায় ১৬-১৮ মিলিয়ন টন গম লাগে। ফলে এই পরিমাণ গম সংগ্রহের পাশাপাশি সরকারকে ভবিষ্যতের জন্য মজুতও রাখতে হয়৷ কিন্তু উৎপাদনের হার কমে যাওয়ায় সংগ্রহও এবার কম।
এদিকে, গমের দাম বেড়েই চলেছে। খুচরো বাজারে আগে প্রতি কেজি গম মিলত ২৭ টাকা ২৬ পয়সায়। এখন তা বেড়ে হয়েছে ২৮ টাকা ৯২ পয়সা। দাম বেড়েছে পাইকারি বাজারেও৷ গমের দাম গত এক বছরে কুইন্টাল প্রতি ১৬৭ টাকা ৫২ পয়সা বেড়ে গিয়েছে। আগামী দিনে গমের দাম আরও বাড়তে চলেছে বলেই আশঙ্কা৷