নয়াদিল্লি: বাণিজ্যিক স্বার্থেই বিজেপি নেতাদের হিংসাত্মক ও বিদ্বেষমূলক মন্তব্য বাতিল করেনি সোশ্যাল মিডিয়া জায়েন্ট ফেসবুক৷ কারণ তাঁরা বিজেপিকে ভয় পায়৷ সম্প্রতি আমেরিকার ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের একটি প্রতিবেদনে এমনই দাবি করা হয়েছে৷
আরও পড়ুন- মিশছে বিষ, মানব জীবনে অত্যন্ত বিপজ্জনক যমুনার জল, IIT দিল্লির রিপোর্টে উদ্বেগ
মার্কিন সংবাদপত্রটির দাবি, বিজেপি নেতাদের বিরুদ্ধে ‘বিদ্বেষ রোধ আইন’ প্রয়োগে বাধা দিয়েছিলেন ভারতে ফেসবুকের পাবলিক পলিসি এগজিকিউটিভ আঁখি দাস। আঁখি দাস সংস্থার কর্মীদের বলেছিলেন, বিজেপি নেতাদের আইনভঙ্গকারী হিসেবে শাস্তি দেওয়া হলে ভারতে ফেসবুকের বাণিজ্যিক ক্ষতি হতে পারে।
এদিকে বিতর্কের মাঝে ফেসবুকের বক্তব্য, কারও রাজনৈতিক ক্ষমতা ও দল নির্বিশেষে সকলের জন্য ‘বিদ্বেষ রোধ আইন’ প্রণয়ন করা হয়েছে৷ ফেসবুকের মুখপাত্র বলেন, ‘‘হিংসা উস্কে দেয় এমন বিদ্বেষমূলক মন্তব্য ও হিংসাত্মক বিষয়বস্তুকে আমরা নিষিদ্ধ করি৷ রাজনৈতিক অবস্থান ও দলীয় সহযোগিতা বিবেচনা না করেই এই নীতি প্রয়োগ করা হয়৷ যদিও মার্কিন সংবাদপত্রের দাবি, ভারতে বিজেপি নেতা ও কর্মীদের আপত্তিজনক মন্তব্য উপেক্ষা করেছে মার্ক জুকারবার্গের সংস্থা৷
আরও পড়ুন- ফেসবুককে নিয়ন্ত্রণ করছে বিজেপি, গুরুতর অভিযোগ রাহুল গান্ধীর
ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের দাবি, সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে হিংসায় উস্কানি দিতে ফেসবুকে বিদ্বেষমূলক মন্তব্য করেছিলেন তেলেঙ্গানার বিজেপি বিধায়ক টি রাজা। এর আগেও একাধিকবার সাম্প্রদায়িক উস্কানিমূলক মন্তব্যের জেরে বিতর্কে জড়িয়েছেন এই বিজেপি নেতা৷ তাঁর সাম্প্রতিক মন্তব্যের পর ‘বিপজ্জনক ব্যক্তি এবং সংস্থা’ নীতির ভিত্তিতে’ তাঁকে ফেসবুকে নিষিদ্ধ করার কথা বলেছিলেন ফেসবুকের কর্মীরা৷ কিন্তু ফেসবুক ইন্ডিয়ার পাবলিক পলিসি ডিরেক্টর আঁখি দাসের হস্তক্ষেপে ওই বিধায়কের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। এটি বিজেপি’র বিরুদ্ধে ফেসবুকের পক্ষপাতিস্ব বলেই মন্তব্য করেছে ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল৷
আরও পড়ুন- রেল কর্মচারীদের জন্য সুখবর, ১৩ লক্ষ পরিবারকে বড় উপহার কেন্দ্রের
শুধু টি রাজা নন, এই অভিযোগ রয়েছে কপিল মিশ্র, অনন্ত হেগড়ে-র মতো একাধিক বিজেপি নেতৃত্বের বিরুদ্ধে৷ কিন্তু ভারতে বাণিজ্যিক ক্ষতি রুখতেই বিষয়টি এড়িয়ে যাওয়া হয়েছে বলে ওয়াল স্ট্রিট জার্নালেন দাবি৷ এই বিষয়ে সুর চড়িয়েছে বিরোধী কংগ্রেসও৷ প্রাক্তন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধীর দাবি, ভারতে ফেসবুক- হোয়াটসঅ্যাপকে নিয়ন্ত্রণ করছে বিজেপি৷ সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে হিংসা ছড়ানোর চেষ্টা চালাচ্ছে তারা৷ বিজেপি ও ফেসবুকের সম্পর্ক খতিয়ে দেখতে যৌথ সংসদীয় কমিটি গঠনের দাবিও তোলা হয়েছে। কংগ্রেস নেতা শশী থারুর এই বিষয়ে ফেসবুককে জবাবদিহি করতে বলেছেন।