রায়পুর: তাঁকে ছেড়ে চলে গিয়েছে মেয়ে। কিন্তু মেয়ের মৃতদেহ নিয়ে যাওয়ার মতো গাড়ি মেলেনি হতভাগ্য বাবার। তাই মেয়ের মৃতদেহ কাঁধে করে নিয়ে ১০ কিলোমিটার হাঁটতে হল বাবাকে। মর্মান্তিক এই ঘটনা ঘটেছে ছত্তীসগড়ের সরগুজায়। এই ঘটনার ভিডিও ইতিমধ্যেই প্রকাশ্যে চলে এসেছে আর তাতেই অস্বস্তিতে পড়েছে ছত্তিশগড় সরকার। বিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন সে রাজ্যের স্বাস্থ্যমন্ত্রী।
আরও পড়ুন- ভয়াবহ বিস্ফোরণে মৃত শিশু! আবারও উত্তাপ বাড়ল বাংলায়
কয়েকদিন ধরেই জ্বরে ভুগছিলেন আমডালা গ্রামের বাসিন্দা ঈশ্বর দাসের মেয়ে। তার নাম সুরেখা। শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় শুক্রবার ভোরেই তিনি লক্ষণপুরের সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য মেয়েকে নিয়ে আসেন। তবে এসেও কোনও লাভ হয়নি। চিকিৎসকরা কিছুক্ষণের মধ্যেই তাকে মৃত বলে ঘোষণা করে। সকাল সাড়ে সাতটা নাগাদ সুরেখা মারা যায়। কিন্তু জানা গিয়েছে, বেলা পর্যন্তও হাসপাতালে কোনও শববাহী গাড়ি ছিল না। তাই আর কোনও উপায় না দেখে মেয়েকে কাঁধে তুলে নিয়ে দশ কিলোমিটার হেঁটে বাড়ি যান ঈশ্বর। তবে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, মৃত্যুর দেড় ঘণ্টা পর গাড়ি এসেছিল কিন্তু ততক্ষণে ওই ব্যক্তি সেখান থেকে চলে গিয়েছে। যদিও গোটা বিষয় নিয়ে সমালোচনা শুরু হয়েছে।
অনেকের প্রশ্ন, কেউ মারা যাওয়ার দেড় ঘণ্টা পর কেন শববাহী গাড়ি আসবে। হাসপাতালে কেন এই গাড়ির ব্যবস্থা থাকবে না। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ যতই অজুহাত দিক এই বিষয়ে ইতিমধ্যে তদন্ত শুরু করেছে রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতর। যাতে এই ঘটনার পুনরাবৃত্তি না হয় তার জন্য জেলার স্বাস্থ্য আধিকারিককে নির্দেশ পর্যন্ত দেওয়া হয়েছে।