নয়াদিল্লি: কেন্দ্র সরকারের কৃষি আইনের বিরুদ্ধে কৃষকদের আন্দোলনের নিয়ে এখনও জারি তরজা। পাঞ্জাব হরিয়ানা সহ বিভিন্ন রাজ্যের অসংখ্য কৃষক নিজেদের দাবি আদায়ের জন্য দীর্ঘ চার মাসব্যাপী বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন রাজধানীতে। অনেকেই অন্নদাতা কৃষকদের পাশে দাঁড়ালেও গেরুয়া নেতারা যে এই আন্দোলন একেবারেই ভালো চোখে দেখছেন না, এদিন আরো একবার সে কথাই বোঝালেন হরিয়ানার মুখ্যমন্ত্রী মনোহরলাল খট্টর।
কৃষক তথা বিক্ষোভকারীরা সরকারের সম্পত্তির ক্ষতি করলে এবার তাঁদের কাছ থেকেই নেওয়া হবে ক্ষতিপূরণ, এদিন এমনটাই জানিয়েছেন হরিয়ানার মুখ্যমন্ত্রী মনোহরলাল খট্টর। শনিবার কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ও অন্যান্য বিজেপি নেতাদের সঙ্গে বৈঠকের পর এই সিদ্ধান্ত জানিয়েছেন তিনি। শুধু তাই নয়, খুব শিগগিরই এই সংক্রান্ত আইনও আনা হবে বলে বিবৃতি দিয়ে জানানো হয়েছে।
বস্তুত, কৃষি আইনের বিরুদ্ধে কৃষকদের আন্দোলন বড় আকার ধারণ করেছে হরিয়ানায়। এদিন মুখ্যমন্ত্রী মনোহরলাল খট্টর জানিয়েছেন রাজ্যের বিধানসভার পরবর্তী অধিবেশনেই এই আইনের খসড়া বিল আনা হবে। কিন্তু এ প্রসঙ্গে উল্লেখ্য, কিছুদিন আগেই কৃষক আন্দোলনকে দমনের জন্য ব্যারিকেড করে, রাস্তায় কাঁটা পুঁতে রাস্তা খুঁড়ে একাধিক পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছিল সরকার তথা প্রশাসনের তরফ থেকে। এদিন হরিয়ানার মুখ্যমন্ত্রীর বিবৃতি শোনার পর থেকেই এ নিয়ে নেট মাধ্যমে শুরু হয়েছে চর্চা। নেটিজেনদের প্রশ্ন, রাস্তা খোঁড়ার সময় কি সরকারের সম্পত্তি নষ্ট হয়নি? যদি হয়ে থাকে তবে তার ক্ষতিপূরণ কে দেবে?
এদিকে কৃষি আইন বিরোধী আন্দোলন নিয়ে এদিন আরো একবার কৃষকদের সমালোচনায় সামিল হয়েছেন মনোহরলাল খট্টর। নিজেদের স্বার্থ চরিতার্থ করার উদ্দেশ্যেই যে এই বিক্ষোভ দেখানো হচ্ছে তাও জানিয়েছেন তিনি। তাঁর কথায়, “কিছু কিছু মানুষ শুধুমাত্র প্রতিবাদের জন্যেই প্রতিবাদ করেন। এর পিছনে রয়েছে কায়েমি স্বার্থ।” কৃষি আইন নিয়ে ইতিবাচক আলোচনার পরামর্শও দিয়েছেন মনোহরলাল খট্টর। উল্লেখ্য, কিছুদিন আগেই কৃষক আন্দোলনকে ঠুকে প্রধানত বলেছিলেন “আন্দোলনজীবীরা আসলে পরজীবী।” তা নিয়েও বিতর্ক শুরু হয়েছিল একাংশের মাঝে।