নয়াদিল্লি: দিল্লিতে ৭২ তম প্রজাতন্ত্র দিবসের দিন কৃষকদের ট্র্যাক্টর মিছিলকে কেন্দ্র করে যে অশান্তির সাক্ষী থাকল গোটা দেশ, তা সাম্প্রতিক সময়ের পরিপ্রেক্ষিতে নিঃসন্দেহে নজিরবিহীন। অন্নদাতা কৃষকদের এই হিংসাত্মক রূপের বিরুদ্ধে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকেই সমালোচনার ঝড় উঠেছে। এমতাবস্থায় বিতর্কের মাঝেই এল কৃষক সংগঠন গুলির প্রতিক্রিয়া।
রাজধানীতে কৃষকদের ট্র্যাক্টর মিছিলকে ঘিরে তৈরি হওয়া অশান্তি ‘অনভিপ্রেত’, এদিন এমনটাই জানালেন কৃষক সংগঠনের সদস্যরা। শুধু তাই নয়, তাঁদের ‘শান্তিপূর্ণ’ মিছিলে সমাজবিরোধী দুষ্কৃতীরা অনুপ্রবেশ করেছে বলেও অভিযোগ তুলেছেন তাঁরা। এদিন এক সাংবাদিক বৈঠকে সম্মিলিত কৃষক ইউনিয়নের তরফ থেকে ট্র্যাক্টর মিছিলে অশান্তি নিয়ে এরূপ প্রতিক্রিয়া দেওয়া হয়েছে। কৃষক ইউনিয়ন গুলির সম্মিলিত সংস্থা সম্যুক্তা কিষাণ মোর্চার তরফ থেকে এদিন সাংবাদিকদের সামনে বলা হয়, তাঁরা অশান্তির তীব্র বিরোধিতা করছেন। এই ধরণের ঘটনা কোনো ভাবেই মেনে নেওয়া যায় না বলেও অনুতাপ করেছেন তাঁরা। কৃষক সংগঠনের এদিনের বিবৃতিতে বলা হয়, “আমরা আজকের অনিচ্ছাকৃত এবং অপ্রীতিকর ঘটনার বিরোধিতা করছি। যাঁরা এই ধরণের কাজ করেছে, তাদের থেকে আমরা নিজেদের আলাদা করে নিচ্ছি।” তবে সেই সঙ্গে যে সমস্ত কৃষকরা এদিনের ট্র্যাক্টর মিছিলে শান্তিপূর্ণ ভাবে অংশগ্রহণ করেছিলেন, তাঁদের ধন্যবাদও জানিয়েছে সম্যুক্তা কিষাণ মোর্চা।
সমস্ত চেষ্টা সত্ত্বেও কেউ বা কারা কৃষকদের ট্র্যাক্টর মিছিলের পথে ঢুকে পড়ে অশান্তি সৃষ্টি করেছেন, এমনটাই দাবি কৃষক সংগঠনের। “শান্তিপূর্ণ মিছিলে কিছু সমাজবিরোধী অনুপ্রবেশ করেছিল। আমরা সবসময়ই বলেছি, শান্তিই আমাদের সবথেকে বড় শক্তি। যে কোনোরকম হিংসাই আমাদের এই আন্দোলনের ক্ষতি করবে”, বলেন কৃষক সংগঠনের সদস্যরা। এদিন ট্র্যাক্টর মিছিলে অংশগ্রহণকারীদের উদ্দেশ্যে সম্যুক্তা কিষাণ মোর্চা কড়া বার্তা, “যাঁরা আন্দোলন করছেন আমরা তাঁদের সকলের কাছে দৃঢ়ভাবে অনুরোধ করছি, আপনারা কোনো হিংসাত্মক পদক্ষেপ নেবেন না যা দেশের আদর্শকে ক্ষতিগ্রস্ত করে।” প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, এদিন বেলা ১২ টা থেকে কৃষকদের ট্র্যাক্টর মিছিল দিল্লির রাজপথে নামার কথা ছিল। কিন্তু বাস্তবে সকাল ৮টা থেকেই দেখা যায় বিভিন্ন এলাকায় ব্যারিকেড ভেঙে দিয়ে এগিয়ে চলেছে মিছিল। লালকেল্লায় গিয়ে নিজেদের পতাকাও তোলেন কৃষকরা।