‘আমি মরে গেলে দায়ী প্রধানমন্ত্রী আর অমিত শাহ’! দাবি প্রতিবাদী এক কৃষকের

তিনি যদি আজ মরে যেতেন তাহলে দায়ী থাকতেন এরা দুজনেই।

নয়াদিল্লি: কেন্দ্রীয় সরকারের নতুন কৃষি আইন নিয়ে সারা দেশজুড়ে বিক্ষোভ চলছে। পাঞ্জাব এবং হরিয়ানার কৃষকদের মতোই দেশের একাধিক রাজ্যের বিদ্রোহ দেখা দিয়েছে। ইতিমধ্যে বেশ কয়েকজন প্রতিবাদী কৃষকের মৃত্যু পর্যন্ত হয়ে গিয়েছে কিন্তু কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে এখনো পর্যন্ত ইতিবাচক কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি কৃষকদের সহায়তায়। এই পরিস্থিতির মধ্যেই পাঞ্জাবের এক ৬৫ বছরের কৃষক আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। তবে ভাগ্যবশত তিনি বেঁচে গিয়েছেন। কিন্তু প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদী এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের প্রতি ক্ষোভ উগরে দিয়ে তিনি বলেছেন, তিনি যদি আজ মরে যেতেন তাহলে দায়ী থাকতেন এরা দুজনেই।

হরিয়ানা সীমান্তে বিষ খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন পাঞ্জাবের এই বৃদ্ধ কৃষক। তাকে সেখান থেকে উদ্ধার করে সঙ্গে সঙ্গে রোহতাকের এক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তাঁর শারীরিক অবস্থা কিছুটা ঠিক হবার পর তিনি সংবাদমাধ্যমে স্পষ্ট জানান, কেন্দ্রীয় সরকারের ক্রিয়া-কলাপের জন্যই তিনি আত্মহত্যার চেষ্টা করেছিলেন। কেউ যদি আত্মহত্যার চেষ্টা করেন তাহলে সেই ব্যক্তিকে শাস্তি দেওয়া হয় যার জন্য সে আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছিল। এক্ষেত্রে তিনি আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় সরকারের ক্রিয়া-কলাপের কারণে। তাহলে তাকে আত্মহত্যার প্ররোচনা দেওয়ার জন্য যাদের গ্রেফতার করা উচিত তারা হলেন প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদী এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। তিনি মরে গেলে এই দুই ব্যক্তি দায়ী থাকবেন বলে জানান ওই বৃদ্ধ কৃষক। এই প্রসঙ্গে তিনি একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন তোলেন, তিনি জিজ্ঞেস করেন, যদি আজ কৃষকদের কিছু হয়ে যায় বা তারা যদি না থাকে তাহলে বাকিরা কি ভাবে বেঁচে থাকবে? 

এখনো পর্যন্ত কৃষক প্রতিবাদের ফলে কমপক্ষে ৩০ জন মারা গেছে বলে সূত্রের খবর। এদের মধ্যে এমন একজন কৃষক রয়েছেন যার বয়স মাত্র ২২ বছর এবং তিনি আত্মহত্যাই করেছেন। এই কৃষক আন্দোলনের সঙ্গে জড়িত আছে প্রায় ৩৫টি সংগঠন। তার মধ্যে হিন্দি বলয়ের সংগঠন আছে, আবার দক্ষিণ ও পশ্চিম ভারতে সক্রিয় সংগঠনও আছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *