নয়াদিল্লি: কৃষি আইনের বিরুদ্ধে সরব গোটা দেশের কৃষক সমাজ৷ রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ-আন্দোলন- বিক্ষোভেও সামিল হন তারা৷ একইসঙ্গে শুরু থেকেই এই আইনের তীব্র বিরোধিতা করে আসছেন বিরোধীরাও৷ তবে মোদী সরকারে বলেছে এই আইনের ফলে আদতে ভালো হবে দেশের কৃষককুলের৷ সেইসঙ্গে বিরোধীদের কথায় কান দিতেও কৃষকদের বারণ করেছিলেন নমো৷ মঙ্গলবার ফের এই আইনের ভূয়সী প্রশংসা করতে শোনা গেল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে৷ মঙ্গলবার একটি ভিডিও কনফারেন্সে কৃষি আইনকে ‘ঐতিহাসিক’ বলেও সম্মোধন করেন মোদী৷ বলেন, কৃষিক্ষেত্রে এই সংস্কার কৃষকদেরকে উদ্যোক্তায় পরিণত করবে৷ তিনি আরও বলেন, সরকার তাদের আয় বৃদ্ধিতে মনোনিবেশ করছে।
এদিন প্রধানমন্ত্রী ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বালাসাহেব ভিখে পাতিলের জীবনীর উদ্বোধন করেন৷ এরপরেই তিনি বলেন, কৃষিক্ষেত্রে এই ঐতিহাসিক সংস্কারের ফলে কৃষকেরা অন্নদাতা থেকে উদ্যোক্তায় পরিণত হওয়ার পথ সুগম হয়েছে৷ গুজরাট, মহারাষ্ট্র, হরিয়ানা এবং পাঞ্জাবের দুধ, চিনি এবং গমের উচ্চ উত্পাদন সম্পর্কে উল্লেখ করে মোদী বলেন, স্থানীয় উদ্যোগের এই জাতীয় মডেলগুলি দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাবে। তিনি বলেন, স্বাধীনতার পরেও একটা সময় ছিল যখন দেশে পর্যাপ্ত পরিমাণে খাদ্যদ্রব্য ছিল না। তখন সরকারের অগ্রাধিকার ছিল খাদ্য উত্পাদন বৃদ্ধি করা। সুতরাং সম্পূর্ণ মনোযোগ ছিল উত্পাদন বাড়ানোর দিকে৷ কৃষকেরাও তাদের উদ্দেশ্য অর্জনে কঠিন পরিশ্রম করেছিল৷
পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রী বলেন, কিন্তু সেসময় উত্পাদনশীলতা বৃদ্ধির বিষয়ে উদ্বিগ্ন হয়ে সরকার কৃষকদের লাভের দিকে মনোযোগ দেয়নি। এরপরেই তাঁর সরকারের আনা আইনের প্রশংসা করে মোদী বলেন, মানুষ কৃষকদের আয়ের কথা ভুলে গিয়েছিল। তবে এই প্রথমবার এই চিন্তাভাবনার পরিবর্তন করা হয়েছে৷ সেইসঙ্গে কোভিড পরিস্থিতির কথাও উঠে আসে তাঁর বক্তব্যে৷ ফের এক দেশবাসীকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার পরামর্শ দেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী৷ এদিকে নতুন কৃষি আইনগুলি অসাংবিধানিক। এমন মন্তব্য করে সুপ্রিম কোর্টে পিটিশন জমা দিয়েছিলেন কয়েকজন। তাঁরা এবিষয়ে শীর্ষ আদালতের হস্তক্ষেপ চেয়েছিলেন। তার ভিত্তিতে সোমবার সুপ্রিম কোর্ট কেন্দ্রীয় সরকারকে নোটিস পাঠিয়েছে। প্রধান বিচারপতি এস এ বোবদের নেতৃত্বে গঠিত একটি বেঞ্চ কেন্দ্রীয় সরকারকে জবাব দিতে বলেছে চার সপ্তাহের মধ্যে।