প্রধানমন্ত্রী ত্রাণ তহবিলের নামে ভুয়ো অ্যাকাউন্ট নম্বর, পর্দাফাঁস পিআইবি’র

প্রধানমন্ত্রী ত্রাণ তহবিলের নামে ভুয়ো অ্যাকাউন্ট নম্বর, পর্দাফাঁস পিআইবি’র

নয়াদিল্লি: নেটদুনিয়ার জেরে অসম্ভব সম্ভব হচ্ছে বটে, কিন্তু মুশকিলও বাড়ছে দিনকে দিন। সোশ্যাল মিডিয়ায় ভুয়ো খবর রটানোয় পদক্ষেপ করার কথাও শোনা গেছে। করোনা পরিস্থিতিতে মানুষের মনে আতঙ্ক ছড়াচ্ছে ফেক নিউজের রমরমায়। তাছাড়া প্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে মোবাইল ব্যবহারকারীর ব্যাঙ্কের টাকা রাতারাতি হাতানোর খবরও প্রকাশ্যে আসছে। তা বলে করোনার ত্রাণ তহবিল 'পিএম কেয়ারস ফান্ড' নিয়ে ভুয়ো খবরের শিকার হবে দেশবাসী, এমন হয়তো কেউই আন্দাজ করেননি। প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলের নাম করে দেওয়া হচ্ছে অন্য ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট নম্বর, দাবি প্রেস ইনফরমেশন ব্যুরো-র (পিআইবি)।

হোয়াটসঅ্যাপ হোক অথবা ফেসবুক, সোশ্যাল মিডিয়ায় 'ফরওয়ার্ডেড মেসেজের' রমরমা বাজার। একাধিক সতর্কতা জারি সত্ত্বেও হয়তো আপনারও চোখে পড়েছে কোনও ভুয়ো খবর। এভাবেই সোশ্যাল মিডিয়ায় দেখা গেছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর করোনা মোকাবিলার ত্রাণ তহবিল নিয়ে ভুয়ো তথ্য। ফরওয়ার্ডেড মেসেজটিতে লেখা রয়েছে, 'করোনা ভাইরাস মোকাবিলায় এগিয়ে এসেছি আমি। এই ভয়ঙ্কর পরিস্থিতিতে প্রকৃতই যাঁদের প্রয়োজন রয়েছে, তাঁদের পাশে দাঁড়ান আপনিও। অনুগ্রহ করে পিএম তহবিলে আপনিও দান করুন।' এই বার্তার সঙ্গেই দেওয়া রয়েছে একটি অ্যাকাউন্ট নম্বর এবং আইএফএসসি কোড। যা আদৌ প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলের নয়। ফ্যাক্ট চেক করে এমনই সত্য সামনে আনল প্রেস ইনফরমেশন ব্যুরো। ৩০ মার্চ একটি টুইটে পিআইবি সাফ জানিয়েছে সতর্ক থাকার কথা।

এদিকে করোনা সংক্রান্ত তথ্য জানার জন্য প্রচলিত একাধিক অ্যাপ্লিকেশন নিয়েও সতর্ক করেছেন বিশেষজ্ঞরা। অ্যান্ড্রয়েড মোবাইলের ওই অ্যাপ্লিকেশনগুলি প্রতারণা করছে ব্যবহারকারীদের সঙ্গে। এছাড়া সোশ্যাল মিডিয়ায় ভুয়ো খবর প্রচার করার ঘটনা তো রয়েইছে। কলকাতা পুলিশের তরফে যুগ্ম কমিশনার (অপরাধ), মুরলিধর শর্মা ভুয়ো খবর ছড়ানোর বিষয়ে যে প্রশাসন বিশেষ পদক্ষেপ করছে সেই কথা জানিয়েছেন। এছাড়াও তিনি বলেন, 'একাধিক ব্যক্তির বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে ইতিমধ্যে। অভিযুক্ত কী উদ্দেশ্যে এবং কী ধরনের ভুয়ো খবর ছড়াচ্ছেন, তার উপর নির্ভর করছে কোন আইনে তাঁর বিরুদ্ধে মামলা করা হবে।'

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *