নয়াদিল্লি: ফেসবুক কর্মীদের বিজেপির প্রতি পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ সংক্রান্ত প্রতিবেদন নিয়ে প্রবল বিতর্কের মধ্যে পাল্টা আরেকটি অভিযোগ তুললেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদ। সংশ্লিষ্ট প্রতিবেদনটিতে অভিযোগ করা হয় সোশ্যাল সাইট ফেসবুকের বেশ কয়েকজন শীর্ষ আধিকারিক বিজেপি নেতৃত্বের কুকথায় আমল দেন না বা তার বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেন না। এবার সরকারের পক্ষ থেকে মার্ক জুকেরবার্গকে চিঠি দিয়ে এরই পাল্টা এক অভিযোগ তোলা হল।
কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদের দাবি ভারতে ফেসবুকের হয়ে কাজ করে, সংস্থায় গুরুত্বপূর্ণ স্থান দখল করেও ভারতের প্রধানমন্ত্রীর প্রতি দুর্ব্যবহার করছেন ফেসবুকের এক শ্রেণির শীর্ষ আধিকারিক। এক কড়া চিঠিতে ফেসবুকের প্রণেতা মার্ক জুকেরবার্গকে তিনি জানিয়েছেন তাঁর দৈত্যাকৃতি সংস্থার কিছু কর্মী প্রধানমন্ত্রী ও মন্ত্রিগোষ্ঠী মন্ত্রীর প্রতি দুর্ব্যবহার করে চলেছে। প্রসাদের অভিযোগ সাম্প্রতিকে বেশ কিছু ঘটনায় দেখা গেছে সমাজবিরোধী ও চরমপন্থী ভাবধারার লোকজন ফেসবুক ব্যবহার করে হিংসা ছড়াচ্ছে। এসব লোকেদের মূল উদ্দেশ্য হল সামাজিক নিয়মভঙ্গ করা, লোক নিয়োগ করে তাদের জড়ো করে হিংসায় ব্যবহার করা। চিঠিতে তিনি লিখেছেন এসব লোকেদের বিরুদ্ধে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে কিনা তা দেখার অপেক্ষায় তারা রয়েছেন। যেসব দল দেশের রাজনৈতিক হিংসা ছড়ানো এবং পরিস্থিতি জটিল করার চেষ্টায় রয়েছে তাদের বিরুদ্ধেও এই উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে কিনা তা তাঁরা দেখবেন বলেও জানিয়েছেন প্রসাদ।
কেন্দ্রীয় তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রী জানিয়েছেন ২০১৯ নির্বাচনের আগে তাকে বলা হয় কেন্দ্রের অধিকারের সমর্থনে গলা তোলা মানুষদের প্রোফাইল বা পেজ ডিলিট করে দেওয়া হয়, তাদের রিচ কমিয়ে দেওয়া হয় এমনকি এসব মানুষদের অভিযোগ করতেও দেওয়া হয়নি। প্রসাদ জানিয়েছেন তাঁর কাছে বিশ্বস্ত মিডিয়া রিপোর্ট রয়েছে যাতে প্রমাণ হয় ভারতে ফেসবুকের ম্যানেজিং ডিরেক্টর থেকে অন্যান্য শীর্ষ আধিকারিকরা এক বিশেষ রাজনৈতিক ভাবধারার মানুষদের দ্বারা প্রভাবিত। নাম না করে তিনি কংগ্রেসকেই এক্ষেত্রে বিঁধেছেন। মন্ত্রীর অভিযোগের পর ফেসবুকের বিজেপি পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ নিয়ে প্রকাশিত মার্কিন প্রতিবেদনের ফলে ছড়ানো ক্ষোভের আগুনে ঘি পড়েছে।