আজ বিকেল: কে বলল ফেসবুক শুধুই সময় কাটানোর। প্রিয়জনকে ফিরিয়ে দিতেও যে তার জুড়ি নেই তা ফের প্রমাণ করল এই সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সংস্থা। আটবছর আগে হারিয়ে যাওয়া নাবালক ছেলেকে ফিরে পেলেন মা । সেই ছেলে এখন কিশোর, স্বেচ্ছায় বাড়ি ছাড়লেও মায়ের কাছে ফিরে খুশি সে। ফেসবুককে ধন্যবাদ দিতেও ভোলেনি।
জানা গিয়েছে, সুসান্না জেনা তেলাঙ্গানার খুশাইগুডা এলাকার বাসিন্দা। তাঁর দুই ছেলে, বছর আটেক আগে ছোট ছেলে দীনেশ জেনা বাড়ি তেকে রাগ করে চলে যায়। তখন সে নিতান্তই নাবালক, বয়স আটবছর। ছেলের খোঁজে কোথায়ই না যাননি তিনি, হাসপাতাল, মর্গ, রেললাইন, থানা, এফআইআর সবই হয়েছে। আত্মীয় পরিজনদের বাড়ি শহরের বড় বাসস্ট্যান্ড, রেলস্টেশন। না কোথাও দীনেশের দেখা পাননি তিনি। দিন কেটেছে, মাস কেটেছে, কেটেছে বছর, সময় গড়িয়ে এখন আটটি বছর দীনেশ কোথায় জানেন না সুসান্না। ছেলে হারানোর চিনচিনে ব্যথা নিয়েই তাঁর দিন কাটে। সম্প্রতি ফোনে তিনি দেখেন দীনেশ জেনা লিমা নামের এক কিশোর ফেসবুক ব্যবহার করছে, শুধু নাম নয় আটবছর আগে হারিয়ে যাওয়া ছেলের কচিমুখটি যেন উঁকি দিয়ে যায়। ফের থানায় যান ওই মা, ফেসবুকের প্রোফাইলটি দেখান। সেখানেই তদন্তকারী পুলিশকর্তারা দেখেন প্রোফাইলটির মালিক পাঞ্জাবের রানকলা গ্রামের বাসিন্দা। এরপর সুসান্নার ইচ্ছেয় হায়দরাবাদ থেকে পুলিশের একটি দল গ্রামে যান। সেখানেই এক কৃষক পরিবারের জমিতে মজুরের কাজ করে দীনেশ। সেই জমি মালিকের দাবি, ছেলেটি কখনওই তার বাড়ির ঠিকানা বলতে চায়নি। তাই তাকে বাড়িতে ফিরয়ে দেওয়া সম্ভব হয়নি। অন্যদিকে কাজ করলেও ওই কিশোরের উপরে কোনওরকম অত্যাচার চালত না কৃষক পরিবারের সদস্যরা।
মাকে ফিরে পেয়ে দীনেশ জানায়, পুলিশ তাকে বাড়িতে নিয়ে এসেছে। আট বছর আগে দাদার সঙ্গে ঝগড়া করে দুহাজার টাকা নিয়ে সে বাড়ি ছেড়েছিল, ইচ্ছে ছিল দুবাই যাবে। তবে দুহাজার টাকায় যে দুবাই যাওয়া হয় না, এই তথ্য তার কাছে ছিল না। যাইহোক তারপর ঘুরতে ঘুরতে পাঞ্জাবের এই গ্রামে। তার মা যে ফেসবুক তেকে তাকে খুঁজে বের করবে, এমনটা ভাবেনি সে। তবে মায়ের কাছে ফিরতে পেরে বেজায় খুশি ওই কিশোর।