নয়াদিল্লি: মোদি সরকারের একাধিক সিদ্ধান্তকে আগেও কাঠগড়ায় তুলেছেন নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেন৷ নোটবন্দি থেকে হালের কাশ্মীর ইস্যুতে এবার কেন্দ্রের মোদি সরকারকে আরও একবার তুলোধোনা করলেন বিশ্বজয়ী বাংলার এই অর্থনীতিবিদ৷
সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে অমর্ত্য সেনের অভিযোগ, কাশ্মীর থেকে ৩৭০ ধারা তুলে নেওয়া সেখানকার মানুষের মানবাধিকারের পরিপন্থী৷ তাঁর আরও মন্তব্য, গণতন্ত্র ছাড়া কাশ্মীর সমস্যার কোনও ভাবেই সমাধান করা যাবে না৷ সেখানে গণতন্ত্র ফিরিয়ে এনে মানুষের হাতে অধিকার তুলে দিতে হবে৷
জম্মু-কাশ্মীরকে পূর্ণ রাজ্যের মর্যাদা ছিনিয়ে নেওয়ার প্রসঙ্গেও কেন্দ্রকে কটাক্ষ করতে ছাড়েননি তিনি৷ নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদের মন্তব্য, যে ভাবে ভারত তার গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা তুলে ধরেছে গোটা বিশ্বের কাছে, তা দেখে গর্ব হয়৷ অপশ্চিমি দেশের মধ্যে ভারতই প্রথম গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাকে আপন করে নেয়৷ কিন্তু, সেই গণতান্ত্রিক দেশে হঠাৎ কোনও রাজ্যকের মর্যাদা কেড়ে নেওয়া আদতে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় আঘাত করা হচ্ছে৷ কেন প্রাক্তন তিন মুখ্যমন্ত্রীকে গৃহবন্দ করা রাখা হয়েছে? তা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন তিনি৷
কাশ্মীর ইস্যুতে টুইট করেন মমতা৷ সোমবার নিজের টুইটার পেজে মুখ্যমন্ত্রী লেখেন, কাশ্মীরের মাবাধিকারের জন্য তিনি প্রার্থনা করছেন৷ কাশ্মীরে শান্তি ফেরানোর বিষয়েও সওয়াল করেন মমতা৷ মানবাধিকার রক্ষা হৃদয়ের কাছের বিষয় বলেও মন্তব্য করেন তিনি৷ পুরানো স্মৃতি উস্কে জানান, গত ১৯৯৫ সালেও তিনিও সরব হয়েছিলেন৷ কাশ্মীরে মানবাধিকার রক্ষার দাবিও জানিয়েছিলেন তিনি৷ পুলিশ লকআপে বন্দি মৃত্যুর প্রতিবাদও তিনি জানিয়েছিলেন বলেও মনে করিয়ে দেন মমতা৷ সেবার ২১ দিন রাস্তায় নেমে আন্দোলন করেছিলেন বলেও জানান মুখ্যমন্ত্রী৷
সম্প্রতি, কাশ্মীরি মেয়েদ নিয়ে হরিয়ানার মুখ্যমন্ত্রী মনোহর লাল খট্টরেক মন্তব্য নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়৷ এই মন্তব্যের পর সোশ্যাল মিডিয়ায় সরব হন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ টুইটে আগেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় লেখেন, আমরা যারা গুরুত্বপূর্ণ চেয়ারে আছি, তাঁদের এই ধরনের মন্তব্য অত্যন্ত অসংবেদনশীলতার পরিচায়ক৷ এমন মন্তব্য অসংবেদনশীল৷ এর থেকে বিরত থাকার উচিত৷