ভোপাল: লকডাউনের নিয়ম অমান্য করলেই সক্রিয় ভূমিকা নিচ্ছে পুলিশ। কিন্তু কর্তব্যরত পুলিশকর্মীর সঙ্গে উটে বচসা বা নিজের প্রভাব প্রতিপত্তি খাটানোর চেষ্টা করতে গিয়ে অভিনব শাস্তির মুখে পড়লেন মধ্যপ্রদেশের প্রাক্তন মন্ত্রীর ছেলে। মাস্ক না পরা নিয়ে বচসা হলে পুলিশের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করার জন্য শাস্তি দিলেন খোদ তাঁর বাবা। জনসমক্ষে ক্ষমা চাওয়া ছাড়াও রাস্তার আবর্জনা পরিষ্কারের কাজ করালেন ছেলেকে দিয়ে।
কর্তব্যরত পুলিশকর্মীর সঙ্গে খারাপ আচরণ। সূত্রের খবর, বাবার রাজনৈতিক প্রভাব খাটাতে চেয়েছিলেন রিপুদমন সিং তোমর। প্রাক্তন মন্ত্রী প্রদ্যুম্ন সিং তোমরের ছেলে তিনি। মাস্ক না পরায় পুলিশ আটকালে ঘটনাস্থল থেকে ফোন করে তাঁকে বলতে শোনা গেছে, 'এই কনস্টেবলকে আমার বাড়িতে ডেকে বলো, আমি কে।' সেই ঘটনার ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয় গত বৃহস্পতিবার। যদিও কাকে কল করেছিলেন সেই বিষয়ে কিছু জানা যায়নি। তবে এই ঘটনার দিন সন্ধের পর প্রাক্তন মন্ত্রী শাস্তি দেন তাঁর ছেলেকে। নিয়ম অমান্যের জন্য রিপুদমন পুলিশকর্মীর কাছে ক্ষমা চান এবং ১০০ টাকা জরিমানাও দেন।
এছাড়াও একটি ভিডিও বার্তায় তিনি ক্ষমা চেয়ে বলেন, 'আমার জন্য যাঁদের ভোগান্তি হয়েছে, তাঁদের কাছে আমি ক্ষমা চাইছি। আমি এরকম আচরণ আর কখনও করব না। ভবিষ্যতে ধৈর্য সহকারে ও বুঝে কাজ করব এবং আইন মেনে চলব।' এই বিষয়ে প্রাক্তন মন্ত্রী প্রদ্যুম্ন সিং তোমর বলেন, 'পোষ্যের জন্য ওষুধ কিনে আমার ছেলে বাড়ি ফিরছিল। মোটরবাইকে চেপে বাড়ি ফেরার সময় মাস্ক পরতে পারেনি। গোটা ঘটনার কিছু অংশ ভিডিও করে কেউ রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল করেছে। সে যাই হোক, আমার ছেলের ওভাবে দুর্ব্যবহার করা উচিত হয়নি। যেখানে ঘটনাটি ঘটেছিল, পরে তাঁকে আমি সেখানে নিয়ে গেছি এবং যে অন্যায় কাজ করেছে, তার জন্য সবার সামনে ক্ষমা চাইয়েছি। পুলিশকর্মীরা দিন রাত আমাদের নিরাপত্তার কাজে যুক্ত রয়েছেন। তাঁদের প্রতি আমাদের সম্মান থাকা উচিত।'
এই ঘটনার পরও বিরোধীরা তাঁর বিরুদ্ধে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য চরিতার্থের অভিযোগ তুলেছেন। যদিও তিনি সেই অভিযোগ অস্বীকার করে বলেছেন, 'রাজনৈতিক প্রতিপত্তির জন্য আমার এহেন আচরণ ছিল না। আমার ছেলে যা করেছে, তা ভুল। সুতরাং তার জন্য যা করা প্রয়োজন মনে হয়েছে, আমি করেছি।'