নয়াদিল্লি: EVM-এ জালিয়াতির অভিযোগ উঠতেই তড়িঘড়ি আসরে নামল বিজেপি৷ মঙ্গলবার সাংবাদিক বৈঠক ডেকে কংগ্রেসের মুখোশ খুলে দেওয়ার হুঁশিয়ারি দিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদ৷ এদিন তিনি বলেন, ‘‘ইভিএম নিয়ে প্রশ্ন তোলা মানে দেশের গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা নিয়ে প্রশ্ন তোলা৷ কংগ্রেস রাজনৈতিক সুবিধা নিতে এই সমস্ত ভিত্তিহীন অভিযোগ তুলছে৷’’ বলেন, ‘‘একজন হ্যাক কী বলল, তা নিয়েই মাতামাতি করছে কংগ্রেস৷ কিন্তু, যখন নির্বাচন কমিশমন ইভিএম নিয়ে চ্যালেজ্ঞ ডেকেছিল, তখন কেন কিছুই বলেনি কংগ্রেস?’’ ইভিএম দুর্নীতির অভিযোগ প্রসঙ্গে কংগ্রেসে মুখোশ খুলে যাবে বলেও এদিন কটাক্ষ করেন তিনি৷
কীভাবে ভারতের নির্বাচনে ব্যবহৃত ভোটযন্ত্রে কারচুপি করা সম্ভব, তা সবিস্তারে হাতেকলমে দেখাবেন লন্ডনের হ্যাকার, রবিবার থেকেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলিতে এই নিয়ে তোলপাড় শুরু হয়৷ পরে জানা যায়, ওই মার্কিন হ্যাকারের নাম সইদ সুজা৷ সোমবার সাংবাদিক বৈঠকে তিনি দাবি করেন, ইলেকট্রনিক্স কর্পোরেশন অব ইন্ডিয়া লিমিটেডের প্রাক্তন কর্মী তিনি৷ ভোটযন্ত্রের নকশা তৈরির কাজে তিনি যুক্ত ছিলেন৷ ফলে কীভাবে তাতে কারচুপি করা যায়, সেটা তাঁর কণ্ঠস্থ৷ অভিযোগ, ২০১৪ সালের ভোটে ইভিএম কারচুপির কথা জানতে পারার পর থেকেই নাকি তিনি প্রাণনাশের হুমকি পাচ্ছেন৷ তাই ব্রিটেনের কূটনেতিক আশ্রয় নিয়ে লন্ডনে রয়েছেন৷
মার্কিন হ্যাকারের আরও দাবি, ২০১৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে ইভিএমে কারচুপি করা হয়েছে৷ আর ভারতে ব্যবহৃত ভোটযন্ত্রে কীভাবে কারচুপি করা সম্ভব, তা জানাতে এদিন সাংবাদিক বৈঠকে ডাকেন তিনি৷ তখন সেখানে উপস্থিত প্রবীণ কংগ্রেস নেতা কপিল সিবাল৷ অবশ্য সাংবাদিক বৈঠক শেষে সুজাকে প্রশ্ন করা হয়, ‘‘আপনি যা যা দাবি করছেন, তার সবটাই কি ঠিক বলে ধরে নেওয়া যেতে পারে?’’ উত্তরে মাথা নাড়িয়ে বলেন, ‘‘না না, এখনই নয়৷’’ এর পরই মার্কিন হ্যাকারের দাবিকে ঘিরে রাজনীতির ময়দানে নামে কংগ্রেস৷ মঙ্গলবার সাংবাদিক বৈঠক ডেকে সেই অভিযোগ উড়য়ে দেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী৷