নয়াদিল্লি: সেরাম ইনস্টিটিউট অফ ইন্ডিয়ার ‘কোভিশিল্ড’ ভ্যাকসিন নিয়ে জটিলতা কিছুতেই কাটছে না। ইউরোপীয় ইউনিয়নে এই ভ্যাকসিনকে ছাড়পত্র দেওয়ার বিষয় নিয়ে কিছুদিন আগে পর্যন্ত ব্যাপক বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছিল। যদিও পরবর্তী ক্ষেত্রে ইউরোপের বেশ কয়েকটি দেশ এই ভ্যাকসিনকে ছাড়পত্র দিয়েছে। তবে একবার ফের এই ভ্যাকসিন নিয়ে বিতর্ক বাড়িয়ে দিল ইউরোপীয় ইউনিয়ন। তাদের তরফে স্পষ্ট জানানো হল, তাদের ভ্যাকসিনকে অনুমোদন দেওয়ার জন্য এখনো পর্যন্ত কোনো আবেদন করেননি সেরাম ইনস্টিটিউট অফ ইন্ডিয়া! এই প্রেক্ষিতে একটি টুইট করেছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন। স্বাভাবিকভাবেই এই দাবির পর আরো কৌতুহল বেড়েছে ‘কোভিশিল্ড’ ভ্যাকসিন নিয়ে।
ইউরোপিয়ান মেডিসিনস এজেন্সির তরফে জানানো হয়েছে, ভ্যাকসিন গ্রহণযোগ্য কিনা তা যাচাই করার জন্য প্রস্তুতকারক সংস্থাকে বাণিজ্যিকভাবে অনুমোদনের আবেদন পাঠাতে হয়। কিন্তু তাদের ভ্যাকসিনের ক্ষেত্রে এখনো পর্যন্ত এই ধরনের কোনো আবেদন পাঠাইনি সেরাম ইনস্টিটিউট অফ ইন্ডিয়া। সেই কারণে আবারো এই ভ্যাকসিন নিয়ে জটিলতা সৃষ্টি হয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়নের। যদিও অ্যাস্ট্রাজেনেকার ভ্যাকসিন অনুমোদন পেয়েছে ইউরোপে। তবে তাদের ফর্মুলায় তৈরি করা ভারতের করোনাভাইরাস ভ্যাকসিন ‘কোভিশিল্ড’-এর অনুমোদন নিয়ে এখনো পর্যন্ত বিতর্ক বহাল রয়েছে। প্রসঙ্গত, কেন্দ্রের হুঁশিয়ারিতে এখনও পর্যন্ত ‘কোভিশিল্ড’কে গ্রিন পাসের অন্তর্ভুক্ত করেছে আটটি ইউরোপের দেশ। অস্ট্রিয়া, জার্মানি, স্লোভেনিয়া, গ্রিস, আইসল্যান্ড, আয়ারল্যান্ড, সুইজারল্যান্ড এবং স্পেন ‘কোভিশিল্ড’কে মান্যতা দিয়েছে।
আরও পড়ুন: আগামী ১২০-২৫ দিন ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ! ‘তৃতীয় ঢেউ’ নিয়ে সতর্কবার্তা কেন্দ্রের
উল্লেখ্য, এখনও অবধি ইউরোপে কেবল চারটি ভ্যাকসিনই অনুমোদন পেয়েছে। তাদের মধ্যে রয়েছে ফাইজার-বায়োএনটেকের ভ্যাকসিন, মডার্না ভ্যাকসিন, অ্যাস্ট্রাজেনেকা-অক্সফোর্ডের ভ্যাকসিন এবং জনসন অ্যান্ড জনসনের ভ্যাকসিন। তবে অ্যাস্ট্রাজেনেকার ফর্মুলায় তৈরি করা ভারতের করোনাভাইরাস ভ্যাকসিন ‘কোভিশিল্ড’-এর অনুমোদন কেন দেওয়া হচ্ছে না তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। এই প্রেক্ষিতে জানান হয়েছে, উৎপাদনের পদ্ধতিতে সামান্যতম ফারাক থাকলেও তার ফলাফলে বিস্তর ফারাক চলে আসে। সেই কারণেই সম্পূর্ণ বাণিজ্যিক অনুমোদনের আবেদন না আসার কারণেই জটিলতা।