নয়াদিল্লি: দেশ জুড়ে পেট্রোল ডিজেলের মতো জ্বালানি তেলের দাম বেড়ে চলেছে রেকর্ড হারে। সেই সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে রান্নার গ্যাসের দামও। করোনা পরবর্তী সময়ে মূল্যবৃদ্ধির এই হাহাকারের মাঝেই ফের দুঃসংবাদ এল মধ্যবিত্তের ঘরে। এমপ্লয়িজ প্রভিডেন্ট ফান্ডের (EPF) সুদে আবারও হতে চলেছে বড়সড় পতন।
ইপিএফ সুদের পতনের ফলে শিগগিরই বেকায়দায় পড়তে চলেছেন অন্তত সাড়ে ৬ কোটি বেতনভোগী মানুষ, এমনটাই জানা গেছে সূত্রের খবরে।এমপ্লয়িজ প্রভিডেন্ট ফান্ড তথা ইপিএফ-এর বার্ষিক সুদের হার বর্তমানে বেশ কম।আগামীকালে ৪ মার্চ বসতে চলেছে শ্রমমন্ত্রকের আওতাধীন কর্মচারী ভবিষ্যনিধি সংগঠনের (ইপিএফও) অছি পরিষদের বৈঠক। জানা গেছে, শ্রীনগরে আয়োজিত ওই বৈঠকেই চূড়ান্ত করা হবে ২০২০-২১ আর্থিক বছরের জন্য ইপিএফের সুদের হার। বিশেষজ্ঞদের মতে ২০১৯-২০ অর্থবর্ষে যে সুদের হার চলে আসছিল তা আরো কমানো হতে পারে এই বৈঠকেই।
বস্তুত, বর্তমানে ইপিএফ-এর বার্ষিক সুদের হার ৮.৫%। গত ৭ বছরে এটাই সর্বনিম্ন। এরপর যদি আরো কমে যায়, তবে ইপিএফ সুদ রেকর্ড গড়বে বলেই মনে করা হচ্ছে। বর্তমানে দেশের প্রায় সাড়ে ৬ কোটি গ্রাহক রয়েছেন যাঁরা এমপ্লয়িজ প্রভিডেন্ট ফান্ড ব্যবহার করে থাকেন। সুদের হার কমলে যে তাঁরা ক্ষতিগ্রস্ত হবেন। তবে এ প্রসঙ্গে শ্রমমন্ত্রক জানিয়েছে, মূলত করোনা অতিমারীর প্রভাবই পড়ছে ইপিএফ সুদের পরিমাণে।
বস্তুত, করোনা কালে লকডাউন ও তার পরবর্তী সময়ে গত ডিসেম্বর পর্যন্ত ইপিএফ অ্যাকাউন্ট থেকে ৭৩ হাজার কোটি টাকারও বেশি অর্থ তুলে নেওয়া হয়েছে। আশঙ্কা, চলতি অর্থবর্ষের শেষে এই পরিমাণ হয়ে দাঁড়াবে ৮০ হাজার কোটির কাছাকাছি। ফলে প্রত্যাশিত সুদের পরিমাণ কমে যাচ্ছে স্বাভাবিক ভাবেই। উল্লেখ্য, ২০১০-১২ অর্থবর্ষেও KYC গোলযোগের কারণে কোটি কোটি মানুষের ইপিএফ সুদ পেতে বিলম্ব হয়েছিল। এরপর আগামীকালের বৈঠকে সুদের পরিমাণে ঠিক কতটা কোপ পড়ে সেটাই এখন দেখার।