নয়াদিল্লি: করোনা সংক্রমণ কেড়ে নিল আরও এক বিশিষ্ট জনের প্রাণ। আক্রান্ত হয়ে এবার প্রয়াত হলেন পরিবেশবিদ তথা চিপকো আন্দোলনের নেতা সুন্দরলাল বহুগুনা। মৃত্যু কালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৯৪ বছর। করোনা আক্রান্ত হয়ে হৃষিকেশের এইমসে ভর্তি ছিলেন তিনি। জানা গিয়েছে, কোভিডে আক্রান্ত হওয়ার পর নিউমোনিয়া হয় তাঁর। পরে হাসপাতালের পক্ষ থেকে বিবৃতি জারি করে ঘোষণা করা হয় যে, তিনি করোনা আক্রান্ত হয়ে প্রয়াত হয়েছেন। ৮ই মে এইমসে করোনায় আক্রান্ত হয়ে ভর্তি হয়েছিলেন সুন্দরলাল বহুগুনা।
তাঁর মৃত্যুতে ইতিমধ্যেই গভীর শোক প্রকাশ করে টুইট করেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তিনি লিখেছেন, সুন্দরলাল বহুগুণার মতো ব্যক্তিত্বের চলে যাওয়া দেশের কাছে বিরাট বড় ক্ষতি। তাঁর সরলতা এবং লড়াই করার চেতনা দেশবাসী কোনদিন ভুলবে না। তাঁর আত্মার শান্তি কামনা করে পরিবারের সদস্যদের পাশে দাঁড়িয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।
Passing away of Shri Sunderlal Bahuguna Ji is a monumental loss for our nation. He manifested our centuries old ethos of living in harmony with nature. His simplicity and spirit of compassion will never be forgotten. My thoughts are with his family and many admirers. Om Shanti.
— Narendra Modi (@narendramodi) May 21, 2021
চিপকো কথার অর্থ জড়িয়ে ধরা। ১৯৭০ সালে একের পর এক গাছ কাটার জন্য উত্তরাখণ্ডের চামোলি গ্রামে বহু মানুষের জীবনযাত্রায় সমস্যা হচ্ছিল। সেই সময়ে আরো বিতর্ক সৃষ্টি হয় যখন সরকার প্রায় আড়াই হাজার গাছের নিলাম ঘোষণা করে। সেই সময়টা ছিল ১৯৭৪ সাল। তখন যখন গাছ কাটার জন্য আধিকারিকরা আসতে থাকে তখন ওই গ্রামের মহিলারা তাদের আটকানোর জন্য গাছেদের জড়িয়ে ধরতে শুরু করে। এই আন্দোলনের মুখ সুন্দরলাল বহুগুণার নেতৃত্বে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর কাছে আবেদন যায়। পরবর্তী ক্ষেত্রে প্রায় ১৫ বছর গাছ কাটা নিষিদ্ধ হয়ে গিয়েছিল।