নয়াদিল্লি: ন্যাশনাল মিশন ফর ক্লিন গঙ্গা বা এনএমসিজি থেকে লিখিত প্রতিশ্রুতি পাওয়ার পর অনশন ভাঙলেন স্বামী আত্মবোধানন্দ। গঙ্গা নদীকে বাঁচানোর জন্য হরিদ্বারে ১৯৪ দিন ধরে অনশন করছিলেন তিনি।
কেরলের কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের ছাত্র ২৬ বছরের স্বামী আত্মবোধানন্দ ২৪ অক্টোবর ২০১৮ থেকে হরিদ্বারের মাতৃসদন আশ্রমে ‘অবিরল ও নির্মল গঙ্গা’র দাবি অনশন শুরু করেন৷ শুধুমাত্র গঙ্গাজল, লবণ আর মধুর ওপর নির্ভর করে ১৯৫ দিন অতিবাহিত করে ফেলেছেন। তাঁর দাবি, ‘গঙ্গাকে অবিরলভাবে বইতে দিতে হবে৷’ গঙ্গাকে যদি অবিরল করা সম্ভব হয়, গঙ্গা নির্মল হবে খুব সহজেই।
ব্রহ্মচারী আত্মবোধানন্দের আগে গঙ্গার জন্য ১১২ দিনের অনশনে আত্মাহুতি দেন ৮৬ বছরের অধ্যাপক গুরুদাস আগরওয়াল৷ মৃত্যুর আগে অধ্যাপক গুরুদাস আগরওয়াল একটি সাক্ষাত্কারে জানিয়েছিলেন, ‘দূষণ নয়, উন্নয়নই গঙ্গার সকল সমস্যার উত্স৷’ ১৯৯৭-এ হরিদ্বারে মাতৃসদন আশ্রম প্রতিষ্ঠার পর থেকেই সন্ন্যাসীদের আন্দোলন চলতে থাকে। ২০১১-র ১৩ জুন ১১৫ দিনের অনশনে আত্মাহুতি দেন স্বামী নিগমানন্দ সরস্বতী। ২০১৪-র ১০ জুলাই বাবা নাগনাথ অনশনে প্রয়াত হন।
Good news ! Threat to life of young saint averted ???
Ganga: Brahmachari Atmabodhanand ends 193- day fast on assurance from Govt @PMOIndia @RahulGandhi
https://t.co/wOtV9Y7IvW pic.twitter.com/an2DZPstWu— Satish Kumar Sharma (@sharmask23) May 4, 2019
২০১৮-র ২৪ জুন অনশনরত সন্ত গোপালদাসকে স্বাস্থ্যের অবনতির কারণে প্রশাসন অজ্ঞাত হাসপাতালে ভর্তি করেন৷ কিন্তু, তারপর আর তাঁর কোনও খবর পাওয়া যায়নি৷ ২০১৮-র ৯ অক্টোবর ১১০ দিন অনশনের পর গুরুদাস আগরওয়াল জলগ্রহণও ত্যাগ করেন৷ দু’দিন পরে ১১ অক্টোবর তিনিও প্রয়াত হন৷ গুরুদাস আগরওয়াল গঙ্গার জন্য শহিদ হওয়ার পর ২৪ অক্টোবর ব্রহ্মচারী আত্মবোধানন্দ আমরণ অনশনে বসেন।