৫ বছর মামলা লড়ে ৩৫ টাকা আদায় করলেন ইঞ্জিনিয়ার! উপকৃত ৩ লক্ষ

৫ বছর মামলা লড়ে ৩৫ টাকা আদায় করলেন ইঞ্জিনিয়ার! উপকৃত ৩ লক্ষ

নয়াদিল্লি: ৫ বছরের দীর্ঘ লড়াই। রেলের বিরুদ্ধে শেষমেষ জিতে গেলেন রাজস্থানের কোটার বাসিন্দা সুজিত স্বামী। তিনি পেশায় ইঞ্জিনিয়ার। আর এই লড়াইয়ের পর রেলের থেকে তিনি ফেরত পেলেন ৩৫ টাকা! শুনে অনেকের মনে হবে তিনি হয়তো পাগল, মাত্র ৩৫ টাকার জন্য কে মামলা করে। কিন্তু আদতে এই গোটা ঘটনায় উপকৃত হলেন প্রায় ৩ লক্ষ মানুষ আর রেলের খরচ হবে প্রায় আড়াই লক্ষ টাকা! কী ভাবে, জেনে নেওয়া যাক।

আরও পড়ুন- এবার পুরুলিয়াতে ফিল্ম সিটি! বড় ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর

আসলে ২০১৭ সালের জুলাই মাসে কোটা থেকে নয়াদিল্লি যাওয়ার জন্য গোল্ডেন টেম্পল মেলের টিকিট কেটেছিলেন সুজিত। এই টিকিট কাটার আগের দিনই জিএসটি চালু হয়েছিল। তখন রেল টিকিটের দাম নিয়েছিল ৭৬৫ টাকা। পরে কোনও এক কারণে সুজিত তাঁর ট্রেনের টিকিট বাতিল করলে রেল ৬৫ টাকার বদলে ১০০ টাকা কেটে নিয়ে বাকি টাকা তাঁকে ফেরত দেয়। জিএসটি চালু হওয়ার পরেও তাঁর কাছ থেকে কেন অতিরিক্ত ৩৫ টাকা পরিষেবা কর নেওয়া হল সেই প্রশ্ন তুলে রেলকে একের পর এক প্রশ্ন করেন সুজিত। আর তখন থেকেই শুরু হয় এই অতিরিক্ত টাকা ফেরত পাওয়ার লড়াই।

পরে সুজিত তথ্যের অধিকার আইনে (আরটিআই) রেলের বিরুদ্ধে মামলা করেন। সেই সময় রেল কর্তৃপক্ষ তাঁকে জানায়, তিনি জিএসটি চালু হওয়ার আগে টিকিট কেটেছিলেন এবং সেই টিকিট বাতিল করেছিলেন জিএসটি চালু হওয়ার পর। জিএসটি চালুর আগে টিকিট কাটা হয়েছিল বলে পরিষেবা কর নেওয়া হয়েছিল তাই সেই টাকা ফেরত দেওয়া যাবে না, যতই তিনি জিএসটি চালুর পর টিকিট বাতিল করুন। তবে এর পরেও হাল ছাড়েননি সুজিত। প্রধানমন্ত্রী থেকে শুরু করে জিএসটি কাউন্সিল এবং অর্থমন্ত্রীকে বারবার টুইট করেন তিনি। পরে রেল তাঁকে প্রাথমিকভাবে ৩৩ টাকা ফেরত দেয়। ২ টাকা বাকি ছিল সেটাও আবার কয়েক দিন আগেই ফেরত দেওয়া হয়েছে।

আরও পড়ুন- গত আট মাসে রাজ্যে নিষ্ক্রিয় ১ কোটি ১৪ লক্ষ রেশন কার্ড! নিশ্চুপ রাজ্য

এখন বিষয় হল, ৩৫ টাকা ফেরত দেওয়ার এই ইস্যুতে শুধুমাত্র সুজিতের এই ‘অদ্ভুত’ লড়াইয়ের জন্য উপকৃত হলেন প্রায় ৩ লক্ষ মানুষ। কারণ রেল জানিয়েছে, এইভাবে যাদের টাকা কাটা হয়েছে সেই ২ লক্ষ ৯৮ হাজার মানুষকে তাঁদের প্রাপ্য টাকা ফেরত দেবে রেল। এতে তাদের খরচ হবে প্রায় আড়াই লক্ষ টাকা। অর্থাৎ ৩৫ টাকার জন্য লড়াইয়ের ফলে রেলের এখন খসতে চলেছে এই মোটা অঙ্ক।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

sixteen + ten =