রয়েছে ইঞ্জিনিয়ারিং-এর ডিগ্রি, চাকরি না পেয়ে শুরু করেন ব্যবসা, মুনাফা এখন লাখে

রয়েছে ইঞ্জিনিয়ারিং-এর ডিগ্রি, চাকরি না পেয়ে শুরু করেন ব্যবসা, মুনাফা এখন লাখে

dc2ecc201102cd79a673b231435893b2

নয়াদিল্লি:  আমাদের দেশে বেকারত্ব একটি গুরুতর সমস্যা৷ শিক্ষিত যুবক-যুবতীরা ডিগ্রি কঁধে ঘুরে বেড়াচ্ছেন৷ কিন্তু, যোগ্যতা অনুযায়ী চাকরি জুটছে না৷ দিন দিন এই সমস্যা আরও প্রকট হচ্ছে৷ তবে এরই মধ্যে ব্যতিক্রমী হয়ে উঠেছেন অনেকে৷ তাঁরা হার মানেননি৷ বরং চাকরির অপেক্ষায় বসে না থেকে নিজ উদ্যোগে শুরু করেছেন  ব্যবসা৷ আর তা থেকে বিপুল মুনাফাও লাভ করেছে৷ এমনই এক ব্যতিক্রমী যুবকের নাম আশুতোষ দীক্ষিত৷

আরও পড়ুন- জল্পনায় অবসান, কংগ্রেসে যোগ দিচ্ছেন না প্রশান্ত কিশোর

উত্তরপ্রদেশের ইটাওয়া জেলার বিহড়ি আসই গ্রামের বাসিন্দা আশুতোষ কানপুরের প্রতিষ্ঠিত ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ PSIT থেকে ২০১৭  সালে সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং কোর্স করে বিটেক ডিগ্রি সম্পন্ন করেন। ইঞ্জিনিয়ারিং পাশ করার পর থেকেই শুরু হয় তাঁর চাকরির খোঁজ৷ এক বছর ধরে বহু চেষ্টা চালিয়েও চাকরি জোটেনি৷ অবশেষে চাকরির চেষ্টা ছেড়ে গ্রামে ফিরে আসেন৷ শুরু করেন নিজের ব্যবসা৷ বেছে নেন পশুপালনকে৷ ঋণ নিয়ে রাজস্থানের বিকানের থেকে চারটি সাহিওয়াল গরু কেনেন তিনি। সেখান থেকেই শুরু৷ এর পর দেখতে দেখতে ৩ বছরের মধ্যে তাঁর গোয়ালঘর ভরে ওঠে ৭০টি গরুতে৷ প্রতিদিন কয়েকশো লিটার দুধ কাঁচের বোতলে ভরে শহরে সরবরাহ করেন তিনি৷ এর থেকে মুনাফাও হয় খাসা৷ 

বলে রাখি, আশুতোষ বিহড়ি আসই গ্রামটি বনের জঙ্গলে ঘেরা৷ ফলে গবাদি পশুর খাদ্য জোগানে কোনও সমস্যা হয় না তাঁর৷ আর ব্যবসা? গরুর দুধ তো বটেই৷ তাঁর ফার্মে তৈরি হচ্ছে গাওয়া ঘি৷ আশুতোষের কথায়, তাঁদের ফার্মে তৈরি দেশি ঘি সাধারণের চেয়ে তিন গুণ বেশি দামে বিক্রি হয়। এছাড়াও গোবরের লাঠি এবং গোবর থেকে তৈরি সার  বিক্রি করেও মুনাফা করেন আশুতোষ৷ 

আশুতোষের কথায়, কানপুরের পিএসআইটি কলেজ থেকে সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং পাশ করি৷ কিন্তু, চাকরি না পাওয়ায় পশুপালনের ব্যবসা শুরু করি। আজ আমার গোয়ালে ৭০টি গরু রয়েছে৷ কাঁচের বোতলে ভরে প্রতিদিন দুধ পৌঁছে দিই শহরে৷ প্রতি লিটার দুধ বিকোয় ৫০ টাকায়৷ মাসে এক লাখের বেশি উপার্জন হয় তাঁর৷ বছরে ১২-১৩ লক্ষ টাকা লাভ করেন এই তরুণ ব্যবসায়ী৷ তাঁর এই সাফল্যের কাহিনী অনেকের কাছেই অনুপ্রেরণা৷