শ্রীনগর: শ্রীনগরে রাতভর গুলির লড়াইে খতম জইশ-ই-মহম্মদ নেতা সহ ৩ জঙ্গি৷ পুলিশের দাবি, গত ১৩ ডিসেম্বর পুলিশের বাসে হামলার সঙ্গে যুক্ত ছিল মৃত জইশ নেতা৷ অন্যদিকে শ্রীনগরের পান্থাচকে রাতভর চলা গুলির লড়াইয়ে আহত হয়েছেন এক সিআরপিএফ জওয়ান-সহ তিন পুলিশকর্মী।
আরও পড়ুন- ওমিক্রন রুখতে কোন বিষয়গুলিতে জোর? স্পষ্ট করলেন এইমস প্রধান
গত ১৩ ডিসেম্বর জঙ্গি হামলায় মৃত্যু হয়েছিল তিন পুলিশ কর্মীর৷ আহত হন বেশ কয়েকজন৷ শ্রীনগরের জেওয়ানে পুলিশ ছাউনির কাছে পুলিশের একটি বাসে হামলা চালিয়েছিল জইশ জঙ্গিরা। সেই হামলার পিছনে ছিল জইশ জঙ্গি নেতা সুহেল আহমেদ রাথের। গতকাল পান্থাচকে দুই পক্ষের গুলির লড়াইয়ে খতম সেই রাথের৷ অকুস্থল থেকে বিপুল পরিমাণ অস্ত্রশস্ত্র উদ্ধার করেছে পুলিশ৷
গোপন সূত্রে খবর পেয়ে বৃহস্পতিবার অভিযান চালায় পুলিশ৷ তিন জঙ্গির মৃত্যুর পর পুলিশ জানিয়েছে, শ্রীনগরে পুলিশের বাসে হামলাকারী প্রত্যেক জঙ্গিরই মৃত্যু হয়েছে। গত ৩৬ ঘণ্টায় জঙ্গি-পুলিশ গুলির লড়াইয়ে এই নিয়ে ৯ জন জঙ্গির মৃত্যু হল। এর আগে, বুধবার বিকেলে জম্মু-কাশ্মীরের অনন্তনাগ ও কুলগাম জেলায় নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে দু’টি পৃথক গুলির লড়াইয়ে দুই পাকিস্তানি নাগরিক-সহ ছয় জঙ্গির মৃত্যু হয়েছে।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, গতকাল শ্রীনগরের উপকন্ঠে অবস্থিত পান্থাচকের গোমান্দের মহল্লায় এক সন্দেহভাজন ব্যক্তিকে আটক করতে যায় পুলিশ। পুলিশ ওই সন্দেহভাজন ব্যক্তির বাড়িতে ঢুকতে গেলেই ভিতর থেকে গুলি চলতে শুরু করে। আহত হন দুই পুলিশকর্মী। এরপরই এলাকায় উপস্থিত সিআরপিএফ বাহিনীর কাছে সাহায্য চায়৷ গুলির লড়াই শুরু হতেই আহত হন এক পুলিশ কর্মী ও সিআরপিএফ জওয়ান৷ তাঁদের স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে৷ এরপরেও দীর্ঘক্ষণ ধরে জঙ্গিদের সঙ্গে নিরাপত্তা বাহিনীর গুলির লড়াই চলে। শেষ পর্যন্ত মৃত্যু হয় তিন জঙ্গির৷