কাশ্মীর ইস্যুতে জরুরি বৈঠক এবার নিরাপত্তা পরিষদে

নয়াদিল্লি: কাশ্মীর ইস্যুতে নাক গলাবে না পাকিস্তান৷ আগেই তা সাফ জানিয়ে দিয়েছিলেন রাষ্ট্রসংঘের মহাসচিবের মুখপাত্র অ্যান্টনিও গুতারেসের৷ কিন্তু, মুখপাত্রের সেই মন্তব্যকে কার্যত উড়িয়ে এবার কাশ্মীর ইস্যুতে জরুরি বৈঠক নিরাপত্তা পরিষদে৷ মূলত, চিনের মদতে আজই নিরাপত্তা পরিষদে এই জরুরি বৈঠেক ডাক দেওয়া হয়েছে বলে খবর৷ ভারত-পাক দ্বিপাক্ষিক বিষয় নিয়ে নিরাপত্তা পরিষদে বৈঠক ঘিরে নতুন করে তৈরি

কাশ্মীর ইস্যুতে জরুরি বৈঠক এবার নিরাপত্তা পরিষদে

নয়াদিল্লি: কাশ্মীর ইস্যুতে নাক গলাবে না পাকিস্তান৷ আগেই তা সাফ জানিয়ে দিয়েছিলেন রাষ্ট্রসংঘের মহাসচিবের মুখপাত্র অ্যান্টনিও গুতারেসের৷ কিন্তু, মুখপাত্রের সেই মন্তব্যকে কার্যত উড়িয়ে এবার কাশ্মীর ইস্যুতে জরুরি বৈঠক নিরাপত্তা পরিষদে৷ মূলত, চিনের মদতে আজই নিরাপত্তা পরিষদে এই জরুরি বৈঠেক ডাক দেওয়া হয়েছে বলে খবর৷

ভারত-পাক দ্বিপাক্ষিক বিষয় নিয়ে নিরাপত্তা পরিষদে বৈঠক ঘিরে নতুন করে তৈরি হয়েছে বিতর্ক৷ জানা গিয়েছে,  চিনের চাপেই এই বৈঠকের ডাক দেওয়া হয়েছে৷ আলোচনা চেয়ে নিরাপত্তা পরিষদের সভাপতির কাছে ইতিমধ্যেই আর্জি জানিয়েছে পাকিস্তান৷ পাক আর্জিকে হাতিয়ার করে বৈঠকের দাবি তোলে চিনি৷

এর আগে সিমলা চুক্তির উল্লেখ করে রাষ্ট্রসংঘের মহাসচিবের মুখপাত্র জানিয়েছেন, উপত্যকায় ভারত-পাকিস্তান সংঘাতের পথে না গিয়ে সংযত থাকুক৷ ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে সিমলা চুক্তিতে কাশ্মীর সমস্যা দ্বিপাক্ষিক বলে উল্লেখ করেছেন রাষ্ট্রসংঘের মহাসচিবের মুখপাত্র৷ ইতিমধ্যেই জম্মু ও কাশ্মীরে সংবিধানের ৩৭০ ধারা বাতিল করছে কেন্দ্র৷ জম্মু-কাশ্মীর পুনর্গঠন বিল এনে লাদাখ ও কাশ্মীরকে ২টি পৃথক কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে বিভক্ত করা হয়েছে৷ ভারতের এই সিদ্ধান্তকে একতরফা ও অবৈধ বলে রাষ্ট্রসংঘে অভিযোগ জানিয়েছে পাকিস্তান৷

কাশ্মীর ইস্যুতে রাষ্ট্রসংঘের হস্তক্ষেপের সম্ভাবনা খারিজ করে রাষ্ট্রসংঘের মহাসচিবের মুখপাত্র জানিয়েছেন, সিমলা চুক্তি অনুযায়ী কাশ্মীর ইস্যুটি ভারত-পাকিস্তানের দ্বিপাক্ষিক বিষয়৷ এই চুক্তিতে তৃতীয় পক্ষের মধ্যস্থতা করার কোনও নির্দেশ নেই৷ শান্তিপূর্ণভাবে কাশ্মীর সমস্যা সমাধানের কথা ওই চুক্তিতে বলা হয়েছে৷ ১৯৭২ সালের শিমলা চুক্তিতে কাশ্মীরকে দ্বিপাক্ষিক বিষয় বলেই মেনে নিয়েছিল ভারত ও পাকিস্তান৷ সেই চুক্তি ও লাহৌর ঘোষণাপত্রই আলোচনার ভিত্তি হওয়া উচিত বলে মনে করে ভারত৷

কিন্তু, এর পরও হঠাৎ কী এমন হল, রাষ্ট্রসংঘের মহাসচিবের মুখপাত্রের বিবৃতির পরও কেন এই চিনা তৎপরতা? কেন ভারত-পাক স্পর্কে এত মাথা ব্যাথা চিনের? হঠাৎ কেন নিরাপত্তা পরিষদে জরুরি বৈঠকের ডাক? এই চিনের আপত্তিতেই নিরাপত্তা পরিষদে স্থান মেলেনি ভারতের৷ ভারত নিরাপত্তা পরিষদে স্থান পেয়ে গেলে চিনের দাদাগিরে যে প্রভাব পড়বে, তা মানছেন পর্যবেক্ষকদের একাংশ৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *