নয়াদিল্লি: কেরলে বাজি ভর্তি আনারস খেয়ে হাতি মৃত্যুর ঘটনায় তোলপাড় গোটা দেশ৷ কিছু অবিবেচক মানুষের নির্মম মজার মাশুল গুনতে হয়েছে ওই গর্ভবতী হাতিটিকে৷ কে বা কারা আনারসের মধ্যে বিস্ফোরক ভরে রেখেছিল তা নিয়ে বিস্তারিত তদন্ত হবে বলে আশ্বাস দিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী প্রকাশ জাভড়েকর।
কয়েক দিন আগের ঘটনা৷ জঙ্গল থেকে বেরিয়ে খাবারের সন্ধানে পাশের গ্রামে গিয়েছিল হাতিটি৷ সেখানে ফলের ভিতর বাজি পুড়ে খাইয়ে দেওয়া হয় তাকে৷ তার মুখের ভিতরই বাজিটি ফেটে যায়৷ প্রচণ্ড কষ্টে পথে ঘুরতে থাকে সে৷ অবশেষে একটি নদীতে শরীর ডুবিয়ে প্রবল যন্ত্রণা থেকে মুক্তি পাওয়ার চেষ্টা করে৷ কিন্তু পারেনি। নদীতেই মৃত্যু হয় হাতিটির। বনবিভাগের এক অফিসার হাতিটির ছবি সহ গোটা ঘটনার কথা সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করতেই সারা দেশ শিউড়ে ওঠে৷
কেরলের মলপ্পুরমে হাতির মৃত্যুর ঘটনাটি অত্যন্ত গুরুত্ব সহকারে দেখা হচ্ছে৷ ঘটনার তদন্তে কোনও খামতি রাখা হবে না বলে টুইট করে জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী প্রকাশ জাভড়েকর৷ তিনি জানান, কেরলের কাছে এই বিষয়ে নোটও চাওয়া হয়েছে। সেইসঙ্গে ঘটনার নিন্দা করে তিনি বলেন, ‘‘বাজি দিয়ে প্রাণী হত্যা করা ভারতীয় সংস্কৃতি নয়।’’ ঘটনার তদন্ত হবে ও কোনও ভাবেই অপরাধীরা রেহাই পাবে না বলেও জানিয়েছেন তিনি।
টুইট করে জাভড়েকর জানান, ঘটনাটি কেরলের মলপ্পুরমে ঘটে৷ কিন্তু পার্শ্ববর্তী পালক্কড় জেলায় গিয়ে মৃত্যু হয় হাতিটির৷ ২৭ মে হাটিতির মৃত্যু হলেও, সম্প্রতি ঘটনাটি প্রকাশ্যে এসেছে৷ এই অঞ্চলের মানুষরা অনেক সময়ই বন্য প্রাণীদের থেকে ফসল রক্ষা করার জন্য ফলের মধ্যে বাজি ভরে রাখে৷ তবে এই প্রথাটি সারা দেশে নিন্দিত হয়েছে৷ এই ভয়াবহ ঘটনাটি সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রকাশ হতেই বিক্ষোভের ফেটে পড়ে মানুষ৷ অপরাধীদের শাস্তির দাবি জানিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় ঝড় উঠেছে৷ এক অবলা পশুর বিরুদ্ধে এমন নিষ্ঠুর জঘন্য কাজের প্রতিবাদে টুইটারে একের পর এক স্কেচ এবং ছবি শেয়ার করেছেন মানুষ। নিন্দায় সরব হয়েছেন সেলিব্রেটিরাও। কেরলের মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন বুধবার বলেন, যে বা যারা হাতি মৃত্যুর জন্য দায়ী, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।