ইলেকটোরাল বন্ডে কোটি কোটি টাকা অনুদান, সবচেয়ে লাভবান কোন রাজনৈতিক দল?

ইলেকটোরাল বন্ডে কোটি কোটি টাকা অনুদান, সবচেয়ে লাভবান কোন রাজনৈতিক দল?

12622c37bb3e173aeda701285afdb751

নয়াদিল্লি: ২০১৯-২০ অর্থবর্ষে বেশি কিছু রাজনৈতিক দলের অনুদানের খতিয়ান মিলেছে পাবলিক ডোমেনে৷ যা খতিয়ে দেখেছে এডিআর৷ আর এডিআর-এর বিশ্লেষণে দেখা গিয়েছে, আটটি রাজনৈতিক দল এআইটিসি, বিজেডি, জেডিএস, টিডিপি, এআইএডিএমকে, এসএডি, ডিএমকে এবং জেডিইউ-র তহবিলে সমাগ্রিক ভাবে জমা পড়েছে ৩১১.৩৭ কোটি টাকা৷ ইলেকটোরাল বন্ডের মাধ্যমে এই বিস্তর টাকা জমা পড়েছে তাঁদের অর্থভাণ্ডারে৷ যা দেখে অনেকেরই চক্ষু চড়কগাছ৷ 

আরও পড়ুন-  গত ৭ বছরে দ্বিগুণ হয়েছে রান্নার গ্যাসের দাম, উঠেছে ভর্তুকিও! স্বীকার করলেন খোদ মন্ত্রী

২০১৮-১৯ অর্থবর্ষে দেখা গিয়েছে, চারটি জাতীয় দল বিজেপি, আইএনসি, এনসিপি এবং এআইটিসি মোট ১৯৬০.৬৮ কোটি টাকা অনুদান পেয়েছিল৷ সেখানে ৭টি আঞ্চলিক দল বিজু জনতা দল (বিজেডি), তেলেঙ্গানা রাষ্ট্র সমিতি (টিআরএস), ওয়ইএসআর-সি, শিবসেনা (এসএইচএস), তেলেগু দেশম পার্টি, জনতা দল সেকুলার (জেডিএস) এবং সিকিম ডেমোক্র্যাটিক ফ্রন্ট (এসডিএফ) মিলিত ভাবে ইলেকটোরাল বন্ড মারফৎ পেয়েছিল ৫৭৮.৪৯ কোটি টাকা৷  ২০১৮-১৯ সালে ইলেকটোরাল বন্ড মারফত যে পরিমাণ অর্থ ডোনেশন হিসাবে এসেছিল, তা জাতীয় স্তরের দলগুলির আয়ের চেয়ে ৫২ শতাংশ বেশি এবং আঞ্চলিক দলগুলির আয়ের চেয়ে তা ৫৩.৮৩ শতাংশ বেশি৷ 

২০১৭-১৮ অর্থবর্ষ এবং ২০১৯-২০ অর্থবর্ষের মধ্যে রাজনৈতিক দলগুলি মোট ২ হাজার ৭৬০ কোটি ২০ লক্ষ টাকা অনুদান পেয়েছিল ইলেকটোরাল বন্ডে৷ এর মধ্যে ৬০.১৭ শতাংশ বা ১,৬৬৬.৮৯ কোটি টাকা একক ভাবে পেয়েছিল ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দল৷

আরও পড়ুন-  এক সপ্তাহের বেশি সময় ধরে জ্বলছে সিমিলিপালের ফুসফুস! উদ্বিগ্ন প্রশাসন

অভিযোগ ছিল, আগে নাকি শিল্পপতিরা তাঁদের কালো টাকা দিত রাজনৈতিক দলগুলিকে৷ ধীরুভাই আম্বানীর থেকে নাকি টাকা পেত কংগ্রেস৷ এছাড়াও আরও অনেকেই টাকা দিতেন তাদের৷ এর পর স্বচ্ছতা আনতে নয়া কৌশল আনল বিজেপি৷ আনা হল ইলেকটোরাল বন্ড৷ বলা হয়, বাজারে ১০ হাজার থেকে ১০ লক্ষ টাকারা বন্ড ছাড়া হবে৷ স্টেট ব্যাঙ্কের নির্দিষ্ট কাউন্টার থেকে সেটা কিনতে পারবেন শিল্পপতিরা৷ ওই বন্ডে কারও নাম থাকবে না৷ বন্ড কেনার পর তা যে কোনও রাজনৈতিক দলক দিতে পারেন শিল্পপতিরা৷ রাজনৈতিক দলগুলি ওই বন্ড ব্যাঙ্কে জমা দিলে, সেই টাকা তাদের নামে হয়ে যাবে৷ বিষয়টা অনেকটাই গিফট ভাউচারের মতো৷  

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *